গাইঘাটার কৃষক বাজারে শুরু হল পাইকারি সুতি বস্ত্রের হাট

নীরেশ ভৌমিক : গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর ঘোষণা অনুযায়ী ১০ মার্চ মহাসমারোহে শুরু হল গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতি ও গাইঘাটা ব্লক প্রশাসন আয়োজিত পাইকারি সুতি বস্ত্র ব্যবসায়ী হাট। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প কৃষক বাজারে প্রতি সোমবার শেষ রাতে রাত ২ টা থেকে বেলা ১২ টা অবধি এই হাট চলবে বলে জানা গিয়েছে।

এদিন সকালে গাইঘাটার চাঁদপাড়া বাজার পার্শ্বস্থ দেবীপুরের কৃষি মান্ডিতে গিয়ে দেখা গেল শতাধিক সুতিবস্ত্র ব্যবসায়ী তাদের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। রয়েছেন স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের লোকজনও। এদিন সকালেই হাটে চলে আসেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ইলা বাকচি।

ছিলেন শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মধুসূদন সিংহ, মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ অঞ্জনা বৈদ্য, পরে আসেন চাঁদপাড়ার প্রধান দীপক দাস। পঞ্চায়েত স্তরের বিশিষ্ট পদাধিকারী’গণকে পেয়ে অতিশয় খুশি হাটের আপামর ব্যবসায়ী’গণ। পঞ্চায়েত সমিতির কর্তাগণ বস্ত্র ব্যবসায়ী’গণের হাতে প্রস্ফুটিত লাল গোলাপ তুলে দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

সভাপতি শ্রীমতি বাকচি ও মধু বাবুরা হাটে কিছু বস্ত্র কেনাকাটাও করেন। তবে এদিন হাটে যথেষ্ট বস্ত্র ব্যবসায়ির সমাগম ঘটলেও ক্রেতাদের তেমন উপস্থিতি চোখে পড়েনি। হাটে আগত ব্যবসায়ীদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন জয়দেব দাস, আশিস সরকার, দেবদুলাল দত্ত,

কিশোর বিশ্বাস ও গৌতম বিশ্বাস প্রমুখ ও স্বেচ্ছাসেবি’গণ। অন্যদিকে চাঁদপাড়া বাজার পাশ্বস্থ স্টেশন রোডে দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর ধরে চলা হাটেও এদিন দোকানিরা থাকলেও ক্রেতাদের তেমন ভিড় চোখে পড়েনি।

জনৈক বস্ত্র ব্যবসায়ী বিপ্লব সাহা জানান, এখানকার দোকানদার’গণ এখানেই রয়েছেন। তবে একই দিনে একই চাঁদপাড়ায় দুটো হাট না বসলে ভালো হতো বলে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের অনেকেই মন্তব্য করেন।








