উৎসবজেলার খবরবিনোদন

গোবরডাঙা শিল্পায়ন স্টুডিও থিয়েটারে অনুষ্ঠিত হল “বর্ণমালা উৎসব -২০২৪”

নীরেশ ভৌমিক : সম্প্রতি ঠাকুরনগর বর্ণমালা’র আয়োজনে তিনদিন ব্যাপী ” বর্ণমালা উৎসব -২০২৪” গোবরডাঙা শিল্পায়ন স্টুডিও থিয়েটারে অনুষ্ঠিত হল।উদ্বোধন করেন ভারত সরকারের জাহাজ ও বন্দর প্রতিমন্ত্রী শ্রী শান্তনু ঠাকুর।উপস্থিত ছিলেন নাট্য পরিচালক জীবন অধিকারী, ইন্দ্রনীল ঘোষ এবং কাকলী কোলে।

নাট্যপ্রেমী সকল অতিথিদের বর্ণমালা স্মারক সস্মাননা প্রদান করা হয়।বর্ণমালা’র নৃত্যগুরু তন্ময় প্রসাদ এবং পূজা বিশ্বাসের পরিচালনায় ” নৃত্যে তোমার মুক্তির রূপ” শীর্ষক নৃত্যানুষ্ঠানে বর্ণমালা’র শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহন করে।সাংস্কৃতিক চর্চার বিশেষ কৃতিত্বের জন্য ; তন্ময় প্রসাদ, পূজা বিশ্বাস এবং প্রিয়াংকা রায়কে বর্ণমালা স্মারক সন্মাননা দেওয়া হয়।

নাট্যকার ইন্দ্রনীল ঘোষ পরিচালিত ” ছুটি” নাটকটি দর্শক হৃদয়কে আন্দোলিত করে।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্প অবলম্বনে নাটকটি ; বর্তমান সময়ে বড়োই প্রাসঙ্গিক। ডালিয়া রায়ের নাট্যরূপ এবং বাপন দে’র আবহ সংগীত বিশেষভাবে মন ছুঁয়ে যায়।নাটকে অভিনয় করেন শ্যামনীল, পূজা, জয়দীপ,প্রিয়াংকা দীপিকা,সুকৃত প্রমুখ।

গোবরডাঙা শিল্পায়ন স্টুডিও থিয়েটারের পরিবেশনায় আশীষ চট্টোপাধ্যায়ের নাটক ” তারা প্রসন্নের কীর্তি ” এবং সন্তোষপুর মনন পরিবেশিত কাকলি কোলের নাটক নো টেনশন দর্শকমহলে বিশেষভাবে সমাদৃত হয়েছে। উৎসবের দ্বিতীয় দিনে গোবরডাঙা নাবিক নাট্যমের পরিবেশনায় জীবন অধিকারীর নাটক দর্পন সফলভাবে মঞ্চস্থ হয়েছে।

উৎসবের শেষ দিনে স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ” বিদ্যালয়ে নাট্য চর্চার গুরুত্ব ” সম্পর্কে আলোচনা চক্রের আয়োজন করা হয়।নাট্যকার আশীষ চট্টোপাধ্যায়, জীবন অধিকারী এবং ইন্দ্রনীল ঘোষ আলোচনায় অংশগ্রহন করেন।শেষ সন্ধ্যায় দত্তপুকুর দৃষ্টি পরিবেশিত জাঁতা বুড়ির কুয়ো নাটকটিতে উপস্থিত দর্শক নাটকীয় আবেশ অনুভব করেন।

ভাস্কর মুখার্জি বর্তমান সময়ের আলোচিত নাট্য পরিচালক।এই নাটকটিতে তাঁর সুদক্ষতার পরিচয় পাওয়া যায়।পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার সাথে বর্ণমালার পরিবেশ ভাবনা বিষয়টি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতে সকল নাট্য কর্মীর হাতে চারা গাছ তুলে দেওয়া হয়।শ্রী শান্তুনু ঠাকুর আদ্যপান্ত সাংসাংস্কৃতিক মনোভাবাপন্ন ব্যক্তি।

তিনি বর্ণমালার কর্মকান্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন।তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বর্ণমালা তথা ঠাকুরনগরে সংস্কৃতির চর্চার জন্য অডিটোরিয়াম হল নির্মান করবেন।এ প্রসঙ্গে নাট্যকার ইন্দ্রনীল ঘোষ বলেছেন ; নাট্য চর্চার জন্য প্রকৃতির মুক্ত পরিবেশে একটি থিয়েটার অডিটোরিয়াম তৈরি হলে ; মফস্বলের সাধারণ ছেলেমেয়েরা সারাবছর নাট্য চর্চা করতে পারবে।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *