নীরেশ ভৌমিক:চাদপাড়া, গত ১লা এপ্রিল থেকে সারা রাজ্যে শুরু হয়েছে ৬ষ্ঠ পর্যায়ের দুয়ারে সরকার প্রকল্প। চলবে ২০শে এপ্রিল অবধি। প্রথম ১০দিন শিবিরে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য আবেদন পত্র জমা নেওয়া হবে, শেষের ১০দিন উপভোক্তাদের পরিষেবা প্রদান করা হবে। গ্রামে -গ্রামে বিভিন্ন বুথেও এবারে দুয়ারে সরকার এর শিবির চলবে। এ দিন গাইঘাটার বিডিও সঞ্জয় সেনাপতি এক সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকদের জানান,এবারের দুয়ারে সরকারে ৪টি প্রকল্প বেড়ে মোট ৩৩টি প্রকল্পের পরিষেবা মিলবে।
নতুন ৪টি প্রকল্প হল, কৃষিজীবীদের জন্য বাংলা কৃষি ও সেচ যোজনা, বেকার যুবক -যুবতীদের (১৮-৪৫বৎসর )স্বনির্ভর করে তোলার লক্ষে ভবিষৎ ক্রেডিট কার্ড, ওবিসি সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের জন্য মেধাশ্রী প্রকল্পে স্টাইপেন্ড প্রদান এবং বিধবাদের জন্য ভাতা প্রদান। বিডিও শ্রী সেনাপতি আরও জানান, এবারে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ছাড়াই যোগ্য মহিলারা লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে বার্ধক্যভাতার জন্য শিবিরে আবেদন পত্র নেওয়া হচ্ছে না। এ দিন ব্লকের ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন শিবিরে বিভিন্ন প্রকল্পে তিন হাজার আবেদন পত্র জমা পড়েছে বলে সঞ্জয় বাবু আরও জানান।
বিভিন্ন শিবিরে আবেদন পত্র জমা ছাড়াও সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পের (I. C. D. S) কর্মীদের শিশুদের পুষ্টির মান নির্ণয়ের চার্ট ও প্রদর্শনী, লোক প্রসার প্রকল্পের শিল্পীদের সংগীতানুষ্ঠান ছাড়াও চক্ষু পরীক্ষা শিবির ও ব্যাংকের একাউন্ট খোলার ষ্টল চোখে পড়ে।
গত ৪ঠা এপ্রিল গাইঘাটার চাঁদপাড়া নিম্নবুনিয়াদি স্কুলে অনুষ্ঠিত শিবির পরিদর্শনে আসেন রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের প্রধান সচিব (প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি )দুশমন্ত নাড়িয়ালা, জেলা শাসক শরদ দ্বিবেদি, ছিলেন বনগ্রাম মহকুমা প্রশাসক প্রেম বিভাস কাঁসারী। গাইঘাটার বিডিও সঞ্জয় সেনাপতি ও চাঁদপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান দীপক দাস আগত আধিকারিকগণকে স্বাগত জানান। সচিব মিঃ নাড়িয়ালা শিবিরে কর্তব্যরত কর্মী ও উপস্থিত মানুষজনের সাথে তাঁদের সুবিধা অসুবিধা নিয়ে কথা বলেন। তবে বিগত শিবিরগুলির মতো এবারের শিবিরে উপভোক্তাদের তেমন ভিড় চোখে পড়েনি।