গ্রামের খবর

নিয়তির ডাকে সাড়া দিয়ে যমজ সুশান্ত প্রশান্ত না ফেরার দেশে,কোলা গ্রামে ২৩টা বছরের একরাশ স্মৃতি পড়ে রইলো অবহেলায়

পারফেক্ট টাইম নিউজ পোর্টাল থেকে তারক বিশ্বাস : বড় দিনের আনন্দ করাটাই জীবনের শেষ আনন্দ করা হল কোলা গ্রামের যমজ দুই ভাই সুশান্ত বিশ্বাস(২৩) ও প্রশান্ত বিশ্বাস(২৩) এর। ঐ দিন নিজেদের লাল রংয়ের বাইকে করে যমজ দুই ভাই গীর্জার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে বাগদা ব্লকেরই চরমণ্ডল বাজারের নিকটে বিপরিত দিক থেকে দ্রুত গতিতে ছুটে আসা নীল রংয়ের অপর একটা বাইকের ধাক্কায় মারাত্বক জখম হয়ে প্রথমে দত্তফুলিয়া হসপিটাল সেখানে আশংকা জনক অবস্থায় রানাঘাট মহকুমা হসপিটাল পরে সেখান থেকে কল্যাণী গান্ধী মেমোরিয়াল হসপিটালে সেখানেও পরিস্থিতি ডাক্তার বাবুদের আয়ত্বে না থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে কলকাতার হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার পরও শেষ রক্ষা হল না। এই কটাদিন কলকাতার হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে নিয়তির কাছে হার মানলো যমজ দু’ভাই। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

বাবা মায়ের অন্ধের যষ্টি যমজ সন্তানদের হারিয়ে তারাও খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়ে যেন জীবনের শেষ সম্বল পুত্রদ্বয়ের বিয়োগ ব্যাথায় মুষরে পড়েছে। সন্তান হারা বাবা মায়ের জীবনে নেমে এসেছে যেন ঘোর আমাবস্যার কালো ছায়া। জীবনের সকল ছন্দ হারিয়ে তারা এখন যমজের স্মৃতি আকড়ে সর্ব্বদা গুঁমরে গুঁমরে কাঁদে। তাঁরা তাঁদের যমজ সন্তানদেরকে ঘিরে কত-না স্বপ্নের জাল বুনে ছিলেন। নিয়তির ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেছে সুশান্ত ও প্রশান্ত না ফেরার দেশে। সারাটা বাড়িতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখে গেছে সুখে দুঃখে বাবা মায়ের সাথে চলা ২৩টা বছরের একরাশ স্মৃতি। যমজের বিয়োগ ব্যথায় নিরানন্দের নীথর তিমিরে পড়া, জীবন যুদ্ধের পরাজিত সৈনিক, সন্তান হারা বাবা-মায়ের অশ্রুসিক্ত দৃষ্টি শূন্যে তুলে, যেন এক অনাগত বাস্তবের প্রতিক্ষায় প্রহর গুনে চলেছেন নিঃরন্তর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *