মছলন্দপুরে বিজ্ঞান চেতনা মঞ্চের বিজ্ঞান আড্ডা
নীরেশ ভৌমিক: নদী বাঁচাও ও আমরাও বাঁচি শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে মছলন্দপুরের বিজ্ঞান চেতনা মঞ্চ। গত ২৫ জানুয়ারি সকালে আয়োজিত আলোচনা সভায় ও পৌরহিত্য করেন বর্ষিয়ান বিজ্ঞান কর্মী মনোজ পোদ্দার।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবি কালিপদ সরকার, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সনৎ কুমার বসু, মুখ্য বক্তা পবিত্র কুমার মুখোপাধ্যায় ও নদী আন্দোলনের অন্যতম কর্সি সুকুমার মিত্র।স্বাগত ভাষণে সংস্থার সম্পাদক তপন কুমার বিশ্বাস উপস্থিত সকলকে স্বাগত জানিয়ে আয়োজিত আলোচনা সভার সাফল্য কামনা করেন।

শুরুতেই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কালিপদ সরকার ও সনৎ কুমার বসু বলেন, আলোচনার বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের চারপাশের বিভিন্ন খাল, বিল, নদী ইত্যাদি ভরাট হয়ে যাচ্ছে। নদী বাঁচাও আন্দোলনকে সার্থক করে তুলতে যুবসমাজকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

সেই সঙ্গে বিজ্ঞান চেতনা মঞ্চের এই মহতী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান।বিশিষ্ট বক্তা বর্ষিয়ান পবিত্রবাবু তার বক্তব্যে এই এলাকার যমুনা, চালুন্দিয়া, চৈতা, বিদ্যাধরী, ইছামতি ইত্যাদি নদী ও খালগুলির অতীত ও বর্তমান তুলে ধরেন। হাবড়া বিজ্ঞান মঞ্চের সম্পাদক সুবল সাহা বলেন, এলাকার বিভিন্ন নদীগুলিকে রক্ষা করতে হবে কারণ নদী বাঁচলে গ্রাম বাংলার সাধারণ মানুষজনও বাঁচবে। মৎস্যজীবী কৃষকদের জীবিকা রক্ষা পাবে।

নদীপথে ভ্রমণ ও পরিবহন ব্যবস্থা সমৃদ্ধ হবে।বিশিষ্ট লেখক সুকুমার মিত্র তাঁর দীর্ঘ বক্তব্যে বলেন, নদী হচ্ছে সভ্যতার জননী। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই নদীকে কেন্দ্র করে সভ্যতা শহর বা জনপদ গড়ে ওঠে। শ্রী মিত্র এতদঞ্চলের ছোট-বড় বিভিন্ন নদীগুলির গুরুত্ব তুলে ধরেন।

কৃষক ও মৎস্যজীবীদের স্বার্থে নদীর পুনরুজ্জীবন ও সংরক্ষণে গ্রাম বাংলার সাধারণ মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রশাসন ও সরকারকে সচেতন করাতে হবে। নদী সংস্কার না হলে ফি বছর বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই নিয়মিত নদী সংস্কারের জন্য সামাজিক সংগঠনগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে সোচ্চার হতে হবে। বহু জায়গায় নদী দখল হয়ে যাচ্ছে। নদী বাঁচাতে এসব বন্ধ করতে হবে। শ্রী মিত্র নদী নিয়ে তার লেখা একটি প্রতিবেদন উপস্থিত সকলের সামনে পেশ করেন এবং গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ এর ছোট-বড় সমস্ত নদীগুলির গুরুত্ব তুলে ধরেন।









