আপোসহীন অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, আপনার এলাকার টাটকা সংবাদ পরিবেশনে সর্বদা দায়বদ্ধ।

অনুষ্ঠানঅরাজনৈতিকসাহিত্য ও সংস্কৃতি।

মছলন্দপুরে সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত তরুণ সংঘ আয়োজিত ঘোষপুর সাংস্কৃতিক উৎসব ও মেলা

নীরেশ ভৌমিক: মছলন্দপুর পার্শ্বস্থ ঘোষপুর তরুণ সংঘের উদ্যোগে মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হয় ঘোষপুর সাংস্কৃতিক উৎসব ও মেলা। গত ১৯ জানুয়ারি সকালে সংঘ প্রাঙ্গনে পতাকা উত্তোলন মঙ্গলদীপ প্রোজ্জ্বলন ও উদ্বোধনী সংগীতের মধ্য দিয়ে ১৮ দিনব্যাপী আয়োজিত ৪১ তম বার্ষিক উৎসব ও মেলার উদ্বোধন করেন সংঘ সভাপতি বিশিষ্ট সমাজকর্মী প্রণব বিশ্বাস।

সংঘ ময়দানের সুসজ্জিত তরুনিমা মঞ্চে আট দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল সংগীত, নৃত্য, অংকন, আবৃত্তি, সংবাদ পাঠ, কুইজ আল্পনা ও তাৎক্ষণিক বক্তৃতা ইত্যাদি প্রতিযোগিতা। ছিল বিশিষ্ট নাট্যকার ও অভিনেতা মনোজ মিত্রের শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠান।উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠানগুলির মধ্যে ছিল পুতুল নাচ, যাদু প্রদর্শনী, লোক সংগীত ও বাউল গানের আসর, যোগব্যায়াম ও ক্যারাটে প্রদর্শনী।

এছাড়াও ছিল মছলন্দপুরের ইমন মাইম সেন্টার পরিবেশিত মূকাভিনয় এর অনুষ্ঠান এবং আমন্ত্রিত নাট্য দলের নাট্যানুষ্ঠান। ২৫ জানুয়ারি অপরাহ্ণে অনুষ্ঠিত কবি সম্মেলনে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত কবিগণ স্বরচিত কবিতা পাঠে অংশগ্রহণ করেন। প্রতিদিন অনুষ্ঠিত নিশুল্ক স্বাস্থ্য শিবিরে সংঘের আহবানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক’গণ উপস্থিত রোগীগণের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন।

২৬ জানুয়ারি উৎসবের শেষ দিনে সংঘ সভাপতি প্রণব বিশ্বাস এর পৌরহিত্যে বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আকাশবাণীর নাট্য বিভাগের সম্পাদক রফিউদ্দিন, সংস্কৃতিপ্রেমী তপন বিশ্বাস, প্রদীপ ঘোষ, শফিউদ্দিন সরকার, হাবিবুল ইসলাম ও বিশিষ্ট ফুটবলার পরিতোষ পাল প্রমুখ। সম্পাদক মৃনাল দেবনাথ সকলকে স্বাগত জানান। বিশিষ্ট অতিথি বৃন্দকে পুষ্পস্তবকে বরণ করে নেওয়া হয়।

বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তাঁদের বক্তব্যে সুস্থ সংস্কৃতির চর্চা ও প্রসারে তরুণ সংঘের এই মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানান। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সফল প্রতিযোগীদের হাতে স্মারক সম্মান ও শংসাপত্র তুলে দিয়ে শুভেচ্ছা জানান উপস্থিত বিশিষ্টজনেরা। রাতে ‘পুরান দ্য ব্যান্ড’ এর মিউজিক কার্নিভাল ও জি বাংলার সারেগামাপা খ্যাত শিল্পীদের সঙ্গীতানুষ্ঠানে বহু মানুষের সমাগম ঘটে। প্রতিদিন অগণিত সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষজনের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ও অংশগ্রহণের উৎসব ও মেলা প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে ওঠে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *