মছলন্দপুর বিজ্ঞান চেতনা মঞ্চের উদ্যোগে মরণোত্তর চক্ষুদাতা প্রয়াত গৌর ঘোষের স্মরণ সভা
পারফেক্ট টাইম নিউজ পোর্টাল থেকে নীরেশ ভৌমিকের রিপোর্ট : চাঁদপাড়া, কোন অন্ধ জনের চোখের দৃষ্টি ফিরিয়ে দিতে মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার করে গিয়েছিলেন গাইঘাটার মধুসূদন কাটি গ্রামের কালীতলার বাসিন্দা গৌর চন্দ্র ঘোষ।
গত ১ এপ্রিল ৮২ বছর বয়সে প্রয়াত হন হন গৌর বাবু। তার ইচ্ছানুযায়ী এবং পরিবারের লোকজনের সহযোগিতায় সেদিনই প্রয়াতের দুটি চোখের কর্নিয়া সংগ্রহ করে নিয়ে যান দিশা আই হাসপাতালের প্রভা আই ব্যাংকের কর্মীগণ।
গত ১১ এপ্রিল মানবসেবি ও সমাজ সচেতন মানুষ প্রয়াত গৌর বাবুর স্মরণসভার আয়োজন করে মছলন্দপুরের বিজ্ঞান চেতনা মঞ্চের সদস্যগণ। তাঁর বাড়ির লোকজনের ব্যবস্থাপনায় এদিন অপরাহ্নে অনুষ্ঠিত সভায় মঞ্চের সদস্য’গণ সহ বাড়ির লোকজন, প্রতিবেশী ছাড়াও তার অনুরাগি মানুষজন উপস্থিত হন।
সভায় পৌরোহিত্য করেন বিজ্ঞান চেতনা মঞ্চের সভাপতি মনোজ কুমার পোদ্দার। ছিলেন মঞ্চের সম্পাদক শিক্ষক তপন বিশ্বাস, সহ-সম্পাদক অংশুমান বিশ্বাস, সদস্য পান্নালাল রায় চৌধুরী, অরুণ সিনহা এবং প্রয়াত গৌর বাবুর আপনজন বর্ষিয়ান কালিপদ সরকার সহ আরোও অনেকে।
অজাত শত্রু, মিষ্টভাষী, কর্মঠ ও পরোপকারী সমাজ সচেতন প্রয়াত গৌর বাবুর জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে স্মৃতিচারণায় অংশ নেন তাঁর পুত্র সুজয় ঘোষ, নাতনি সুপ্রিয়া ঘোষ, প্রতিবেশী শিক্ষক দিলীপ ঘোষ, শিক্ষিকা কল্পনা পাল, নারায়ন মন্ডল, শিক্ষক অর্ঘ্য সাহা প্রমূখ।
সকলেই প্রয়াত গৌর বাবুর এই মহতী কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তার বিদেহী আত্মার চিরশান্তি কামনা করেন। মরণোত্তর দেহ ও চক্ষুদান আন্দোলনের অন্যতম সৈনিক শিক্ষক কালিপদ সরকার উপস্থিত
সকলকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের স্বার্থে দেহ এবং অন্ধ জনের চোখের আলো ফিরিয়ে দিতে চক্ষুদান আন্দোলনকে দিকে-দিকে ছড়িয়ে দেবার আহ্বান জানান।