আপোসহীন অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, আপনার এলাকার টাটকা সংবাদ পরিবেশনে সর্বদা দায়বদ্ধ।

অনুষ্ঠানউৎসবপাঠকের কথাবিনোদনরাজ্যসর্ম্বধনাসাহিত্য ও সংস্কৃতি।

শুরু হল ‘হেলেঞ্চা কলেজ বই মেলা-২০২৫’ ড. বি.আর.আম্বেদকর শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে

পারফেক্ট টাইম ওয়েব ডেস্ক : হেলেঞ্চা কলেজের বই মেলার শুভ উদ্বোধন হল আজ। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, সীমান্তবর্তী বাগদা ব্লকের অধিন হেলেঞ্চা ড. বি.আর আম্বেদকর শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত চার দিন ব্যাপী বই মেলা। আর আজ তার প্রথম দিন।

কলেজের অনুষ্ঠান সূচি অনুযায়ী বর্ণাঢ্য পদযাত্রার মাধ্যমে বইমেলার শুভ উদ্বোধন হয়। এই পদযাত্রায় স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন কলেজের প্রিন্সিপাল, প্রফেসরগন, টিচিং, নন-টিচিং ষ্টাফগন, কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা, ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকগন সহ এলাকার অসংখ্য বই প্রেমীরা।

এই বই মেলা উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য পদযাত্রাটি হেলেঞ্চা বাজার এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। কলেজের অনুষ্ঠান সূচির দ্বিতীয় পর্যায়ে ছিল, বাগদা ব্লকের বিভিন্ন স্কুলের অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন বিভাগের ‘বসে আঁকো’ প্রতিযোগিতা।

অনুষ্ঠান সূচির তৃতীয় পর্যায়ে ছিল, অতিথিদের বরন। এই তৃতীয় বর্ষীয় বই মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথিবর্গের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, হেলেঞ্চা কলেজের সু-যোগ্য অধ্যক্ষ, সমস্ত রকম ভাল কাজের অনুপ্রেরনা প্রদানকারী, এক আলোক-বর্তিকা, কলেজটির উন্নয়নের একনিষ্ঠ কারিগর,

সর্বজন শ্রদ্ধেয় ড. চিত্তরঞ্জন দাশ, বাগদার এমএলএ মধুপর্ণা ঠাকুর, কলেজের পরিচালন কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট সমাজ সেবক তথা বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সহঃসভাপতি তরুণ ঘোষ, ইউথ্ অফিসার কলকাতার রিজিওনাল ডিরেক্টর (NSS) অগ্নিমিল দাস, বিশিষ্ট সাংবাদিক উত্তম কুমার সাহা প্রমুখ।

অতিথিদেরকে অনুষ্ঠান মঞ্চে ডেকে যথাযোগ্য সন্মানের সাথে ‘মোমেন্ট’ ও ‘বোধি স্বরনিকা’ দিয়ে বরন করে নেন, যথাক্রমে কলেজের প্রিন্সিপাল ড. চিত্তরঞ্জন দাশ, বাংলা বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. বাসুদেব মন্ডল ও অধ্যাপক চন্দন বিশ্বাস। এই অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক ছিলেন, কলেজের সু-যোগ্যা ভাইস-প্রিন্সিপাল ড. রুপলীনা ব্যানার্জি।

এরপর চতুর্থ পর্যায়ে ছিল, কলেজ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য তাৎক্ষণিক বক্তৃতা। পঞ্চম পর্যায়ে ছিল, রবীন্দ্র, নজরুল ও ধ্রুপদী নৃত্য প্রতিযোগিতা। সব-মিলিয়ে এগুলোই ছিল ‘হেলেঞ্চা কলেজে বই মেলার’ প্রথম দিনের কর্মসূচী। দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচীতে থাকছে, সর্ব সাধারণের জন্য, ক ও খ বিভাগে আবৃত্তি প্রতিযোগিতা। বিকালে থাকছে সঙ্গীত প্রতিযোগিতা।

ক বিভাগের জন্য (ছড়ার গান/ রবীন্দ্র সঙ্গীত), খ বিভাগ অর্থাৎ সর্ব সাধারণের জন্য (আধুনিক/লোকগীতি)। সন্ধ্যায় থাকছে, জনপ্রিয় বাউল সঙ্গীত শিল্পী-স্মৃতি বিশ্বাসের একক সঙ্গীতানুষ্ঠান। তৃতীয় দিনের কর্মসূচীতে থাকছে, ক্যুইজ প্রতিযোগিতা (২জনের দল/সর্ব সাধারণ)। বিকালে শুধুমাত্র কলেজ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা।

বিকালে থাকবে, ‘কবি সম্মেলন’ ও ক্যারাটে প্রদর্শনী। সন্ধ্যায় থাকবে, ‘ম্যাজিক শো’। শেষ বা চতুর্থ দিনের কর্মসূচীতে থাকছে, বিতর্ক প্রতিযোগিতা (শুধুমাত্র কলেজ ছাত্রছাত্রীদের জন্য)। বিকালে থাকবে, কলেজ স্টাফদের পরিবেশনায় ‘শ্রুতি নাটক’, থাকবে কলেজ ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে ‘গীতিনৃত্য’।

এবং সন্ধ্যায় থাকবে, ‘জনপ্রিয় ব্যান্ড সঙ্গীত’ (হাট্টিমাটিম)। হেলেঞ্চার কলেজ বই মেলা প্রাঙ্গণে মেলায় আগত দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য রয়েছে, একাধিক বই প্রকাশনীর বইয়ের ষ্টলের পাশাপাশি রয়েছে, রকমারী খাদ্য-খাবারের ষ্টল, রয়েছে বিভিন্ন প্রকার হস্ত শিল্পের ষ্টল।

অবশ্য, যে কোন বইমেলা তখনই সার্থক হযে ওঠে, যখন পাঠকের ভিড় বাঁধ ভাঙা জোয়ারের মত বইমেলা প্রাঙ্গন উপচে পড়ে। নির্ভর করে তাঁদের বই কেনার উপরও। তাইতো এই বইমেলাকে প্রাণবন্ত করতে, স্বার্থক করতে আপনাদের উপস্থিতির ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছুই।তাই পাঠকদের জন্য উদ্যোক্তাদের আহবান, আপনারা দলবেঁধে বইমেলায় আসুন। ইচ্ছে মতো বই কিনুন।

আপনাদের প্রানের আবেগ, উচ্ছ্বাস উজাড় করে সমৃদ্ধ করুন হেলেঞ্চা কলেজ বই মেলার প্রানবন্ত অনুষ্ঠান গুলো।আপনারা সবাই জানেন যে, শ্রেষ্ঠ হয়ে কেউ জন্মায় না, তাঁর অর্জিত জ্ঞানই মানুষকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করে।উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানটি সর্ব্বাঙ্গীন সুন্দর ও প্রানবন্ত করে তুলতে যাঁদের নিরলস ভূমিকা অনস্বীকার্য্য অথচ তাঁরা রয়েছেন নেপথ্যেই।

তাঁদের মধ্যে অন্যতম, কলেজের কালচারাল বিভাগের তথা রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কৌশিক সাউ, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক চন্দন বিশ্বাস, বাংলা বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. বাসুদেব মন্ডল, ভাইস-প্রিন্সিপাল ড. রূপলিনা ব্যানার্জি, সহ অন্যান্য অধ্যাপক-অধ্যাপিকা,টিচিং নন-টিচিং ষ্টাফ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *