আপোসহীন অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, আপনার এলাকার টাটকা সংবাদ পরিবেশনে সর্বদা দায়বদ্ধ।

অনুষ্ঠানজেলার খবরপ্রতিভার সন্ধানেবিনোদনসর্ম্বধনাসাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ‘রবির পরশে’ অনুষ্ঠিত হলো নৃত্যালোক ইনস্টিটিউট অফ ডান্স-এর আয়োজনে

রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে গতকাল নৃত্যালোক ইনস্টিটিউট অফ ডান্স-এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ‘রবির পরশে’ এক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান, কবিতা ও ভাবনার মাধ্যমে উঠে আসে আমাদের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের ছাপ। অনুষ্ঠানের সূচনা হয় রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে। এরপর মঞ্চে আসেন অনুষ্ঠানের সঞ্চালিকা ও কবি শ্রীমতী জবা কুন্ডু, যিনি স্বাগত জানান আমন্ত্রিত অতিথি ও দর্শকদের।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও গোবরডাঙার পৌরপ্রধান শঙ্কর দত্ত মহাশয়, রাজবল্লভপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির সম্পাদক হীরালাল মজুমদার, ড. ঈশিতা ভৌমিক (কত্থক নৃত্যশিল্পী), ড. সোমা মুখার্জী (শিক্ষিকা), সৌমী মুখার্জী (সঙ্গীত শিক্ষিকা), ধীরাজ হাওলাদার (কর্ণধার – ইমন মাইম সেন্টার), জীবন অধিকারী (কর্ণধার – নাবিক নাট্যম) প্রমুখ। তাঁদের উপস্থিতি অনুষ্ঠানের গৌরব ও গুরুত্ব অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়।

নৃত্যালোক ইনস্টিটিউট অফ ডান্স-এর ছাত্রছাত্রীরা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। বিভিন্ন বয়স ও অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও সকলের মধ্যে ছিল চমৎকার অভিব্যক্তি, শরীরী ভাষা ও রসধারণের ক্ষমতা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিল রবীন্দ্রসঙ্গীতের উপর ভিত্তি করে নৃত্য পরিবেশনা, তারপর ছিল কবিতা আবৃত্তি, গান, মূকাভিনয় এবং শেষে একটি নৃত্যনাট্য যা ছিল দর্শকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ। বিশেষ পরিবেশনায় অংশ নেন সানন্দা চক্রবর্তী (সঙ্গীত), ইমন মাইম সেন্টার ও সঙ্গীত সপর্যার শিল্পীরা, যাঁরা তাঁদের নিজস্ব শৈলী ও অভিজ্ঞতা দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করেন।

অনুষ্ঠানের শেষে অতিথিরা বক্তব্য রাখেন এবং ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহিত করেন। ভবিষ্যতে এরকম আরও অনুষ্ঠান আয়োজন করে নৃত্যালোক তার সাংস্কৃতিক যাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এই আশাই সকলের। সারা অনুষ্ঠানটির ভাবনা ও পরিকল্পনায় ছিলেন নৃত্যালোক ইনস্টিটিউট অফ ডান্স-এর প্রতিষ্ঠাতা ও নৃত্য শিক্ষিকা শ্রীমতি সঞ্চিতা মুখার্জী সেন। তিনি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নৃত্যে স্নাতক এবং কত্থক নৃত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করে বহুদিন ধরে নৃত্যশিক্ষায় ব্রতী। তাঁর এই প্রচেষ্টায় নৃত্যালোক বৃহত্তর গোবরডাঙা, মছলন্দপুর সহ তদসংলগন এলাকার সাংস্কৃতিক পরিসরে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *