আপোসহীন অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, আপনার এলাকার টাটকা সংবাদ পরিবেশনে সর্বদা দায়বদ্ধ।

অনুষ্ঠানঅরাজনৈতিকখেলাখেলার খবর।বিনোদন

সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত গাইঘাটা পূর্বচক্রের বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

নীরেশ ভৌমিক: গত ২২ জানুয়ারি সকালে চাঁদপাড়ার প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন ময়দানে গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ইলা বাগচি কর্তৃক জাতীয় পতাকা এবং গাইঘাটার অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক রজত রঞ্জন ঘোষ কর্তৃক চক্রের পতাকা উত্তোলন, পতাকা অভিবাদন, প্রদীপ প্রোজ্জ্বলন ও শ্বেত কপোত ওড়ানোর মধ্য দিয়ে মহাসমারোহে শুরু হয় গাইঘাটা পূর্ব চক্রের অন্তর্গত সমস্ত প্রাথমিক, নিম্ন বুনিয়াদী এবং এসএসকে বিদ্যালয় সমূহের ৪০ তম ব্রহ্মদৈত্য বাৎসরিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে ছিলেন, পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা ও ক্রীড়া কর্মাধ্যক্ষ মধুসূদন সিংহ, চাঁদপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান দীপক দাস, উপ-প্রধান বৈশাখী বর, সুটিয়া জিপির প্রধান পম্পা পাল, ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুজন গাইন, গাইঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ রাখহরি ঘোষ, শিক্ষানুরাগী সুভাষ রায়, বিভাস ঘোষ, মিলন কান্তি সাহা প্রমূখ। মশাল দৌড় ও বাজনার সাথে স্কুল পড়ুয়াদের রণ পায়ে মাঠ প্রদক্ষিণ এবং মাথার উপর ড্রোনের নজরদারি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে বেশ আকর্ষণীয় করে তোলে।

উদ্যোক্তা ও প্রতিযোগীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাতে আসেন জেলা পরিষদ সদস্য অভিজিৎ বিশ্বাস ও ব্লকের বিডিও নীলাদ্রি সরকার। বিশিষ্টজনেরা সকলে লেখাপড়ার সাথে সাথে খেলাধুলো ও শরীরচর্চার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে মনোজ্ঞ ভাষণ দেন এবং সেই সঙ্গে আয়োজিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

শিক্ষক সুদীপ দাসের শপথ বাক্য পাঠ করানোর মধ্য দিয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হয়।চক্রের ৭টি অঞ্চলের ৭৮ টি স্কুলের দুই শতাধিক প্রতিযোগী পড়ুয়া’গণ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। দৌড় ও উচ্চ ও দীর্ঘ লম্ফন, ফুটবল থ্রোয়িং, যোগাসন, জিমন্যাস্টিক এবং ছোটদের আলু দৌড় প্রতিযোগিতা বেশ আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। শারীর শিক্ষণ প্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ ও এলাকার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক’গণের সুচারু পরিচালনায় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সার্থকতা লাভ করে।

প্রতিযোগিতা শেষে সফল প্রতিযোগীগণের হাতে মেডেল, মেমেন্টো ও শংসাপত্র তুলে দিয়ে শুভেচ্ছা জানান উপস্থিত বিশিষ্টজন। অন্যতম সংগঠক অহীতোষ সাহা জানান, চক্র স্তরের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় শুধুমাত্র প্রথম স্থানাধিকারী’গণই পরবর্তী মহাকুমা স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং এলাকার শিক্ষা ও ক্রীড়ানুরাগী মানুষজনের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ও অংশগ্রহণে এদিনের ব্লক স্তরের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বেশ প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *