সাড়ম্বরে শুরু হল ২৮ তম বর্ষের ঠাকুরনগর বইমেলা
নীরেশ ভৌমিক : সকালে পতাকা উত্তোলন ও এলাকার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও গ্রন্থপ্রেমী মানুষজনের এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে ঠাকুরনগর স্টেশন পার্শ্বস্থ খেলার মাঠে শুরু হয় ২৮ তম বর্ষের ঠাকুরনগর বইমেলা।
অপরাহ্নে মেলা প্রাঙ্গণের সুসজ্জিত মঞ্চে মহিলাদের উলুধ্বনি ও শঙ্খধ্বনির মধ্য দিয়ে ১০দিন ব্যাপী আয়োজিত গ্রন্থ মেলার উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও সঙ্গীতজ্ঞ কঙ্কন ভট্টাচার্য।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্য বিশিষ্টজনদের মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ ও বইমেলার প্রধান পৃষ্ঠপোষক ডঃ অসীম বালা, জাতীয় শিক্ষক ডঃ নিরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংবাদিক অলক বিশ্বাস, ঠাকুরনগর সরকারি মহাবিদ্যালয়ের
অধ্যক্ষ স্বপন সরকার, ঠাকুরনগর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অজিতেষ বিশ্বাস, বিশিষ্ট শিক্ষাব্রতী অমল রায়, অনুপম দে, সত্য কপাট ও বিশিষ্ট আইনজীবী শ্রীকৃষ্ণ ঘোষ প্রমূখ। মেলা কমিটির সম্পাদক বিদ্যুৎকান্তি মন্ডল সকলকে স্বাগত জানান।
উদ্যোক্তারা সকলকে পুষ্পস্তবক, উত্তরীয় ও স্মারক উপহারে বরণ করে নেন। মঞ্চ থেকে উদ্বোধক কঙ্কন ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা বইমেলা কমিটির বার্ষিক মুখপত্র বর্ণমালিকা’র আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন।
স্বাগত ভাষণে বইমেলা কমিটির সভাপতি উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আয়োজিত বইমেলার সার্থকতা কামনা করেন। অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তাদের বক্তব্যে শহর কলকাতা থেকে এত দূরে প্রত্যন্ত
গ্রাম্য এলাকায় দীর্ঘ ২৮ বৎসর যাবৎ বইমেলা চালিয়ে যাওয়ায় উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। বক্তব্য শেষে উদ্বোধক শ্রী ভট্টাচার্যের গাওয়া গান সকলকে মুগ্ধ করে।
শুরুতে নবজাগরণের গানের কিংবদন্তি স্রষ্টা সলিল চৌধুরীর বিখ্যাত ‘ও আলোর পথযাত্রী’ সংগীতের মধ্য দিয়ে বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী জয়ন্ত বিশ্বাসের পরিচালনায় এক ঝাঁক নৃত্যশিল্পীর সমবেত নৃত্যের অনুষ্ঠান উপস্থিত সকলের প্রশংসা লাভ করে।
মেলায় বই এর স্টলের পাশাপাশি লিটল ম্যাগাজিন ও ভারত সরকারের ইন্ডিয়ান মিউজিয়ামের স্টলটি সকলের নজর কাড়ে।
মেলায় প্রতিদিন অপরাহ্ন থেকে বিভিন্ন বিষয়ক আলোচনা সভা সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে। ২১ ডিসেম্বর স্বেচ্ছা রক্তদান এবং শেষ দিন কবি সম্মেলন ও পুরস্কার প্রদান করা হবে বলে সম্পাদক বিদ্যুৎ বাবু জানান।