সুপ্রিম রায়ে সরকারি স্কুলের প্রায় ছাব্বিশ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা চাকরিচ্যুত হওয়ায় কাজের চাপ বাড়লো পার্শ্ব শিক্ষক-শিক্ষিকাদের

নীরেশ ভৌমিক : বর্তমানে সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে সরকারি স্কুলের ছাব্বিশ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা চাকরিচ্যুত হওয়ায় পার্শ্ব শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর কাজের চাপ বাড়লো। প্রাথমিকের পার্শ্ব শিক্ষকরা মাসিক মাত্র দশ হাজার টাকা ও উচ্চ প্রাথমিক এর পার্শ্ব শিক্ষকরা মাসিক তেরো হাজার টাকায় খুব কষ্ট ও যন্ত্রনা নিয়ে কাজ করেন।

এ মর্মে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নব-নিযুক্ত পার্শ্ব শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তথা গরজালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পার্শ্ব শিক্ষক শুভঙ্কর মন্ডল বলেন, তিনি সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ন্যূনতম বেতন কাঠামো গড়ে বেতন বৃদ্ধির আবেদন জানিয়েছেন।

বেতন বৃদ্ধি হলে পার্শ্ব শিক্ষক-শিক্ষিকারা হাসি মুখে সব যন্ত্রনা ভুলে সরকার তথা স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনার কাজ স্বাভাবিক রাখতে সক্ষম হবেন। তাঁদের দাবী সরকারের উচিৎ সকল পার্শ্ব শিক্ষক শিক্ষিকার আর্থিক বঞ্চনা দূরীভূত করে তাদের শিক্ষকতার কাজে উৎসাহ দিক।

সেইসাথে পার্শ্ব শিক্ষক-শিক্ষিকারাও নিরলস ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় স্কুল ছুট ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল মুখী করে শিক্ষার অঙ্গনে ফিরিয়ে এনে সারা ভারতবর্ষের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রথম স্থান প্রাপ্তির ধারা অব্যাহত রাখুক। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে একজনও ড্রপআউট, স্কুল ছুট ছাত্র-ছাত্রী নেই।তাঁদের দাবী এই কৃতিত্বটাও সম্পূর্ণ অল্প মাইনের প্যারা টিচারদের।








