হামকুড়া জগদীশপুর ফিশার ম্যান কোঅপারেটিভ সোসাইটির অধীন বাওড় ও ভেড়ী দিয়ে দ্বন্দ দু’গ্রুপের

(সমিতির সদস্য)
পারফেক্ট টাইম ওয়েব ডেস্ক : বাগদা ব্লকের আষাঢ়ু অঞ্চলের হামকুড়া জগদীশপুর ফিসার ম্যানস কো-অপারেটিভ-সোসাইটি লিঃ এর সাবেক দ্বায়িত্ব প্রাপ্তদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, মারামারি-কোপাকুপি ও অর্থ তছরুপের অভিযোগে একাধিক মামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অসংখ্য মৎসজীবি পরিবার কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে বলে জানা গেছে।

[[ (১) হামকুড়া জগদীশপুর ফিসার ম্যানস কো-অপারেটিভ-সোসাইটি লিঃ। (২) হামকুড়া জগদীশপুর ফিসার ম্যানস কো-অপারেটিভ-সোসাইটি লিঃ এর ভেড়ি। (৩)হামকুড়া জগদীশপুর ফিসার ম্যানস কো-অপারেটিভ-সোসাইটি লিঃ এর অফিস। ]]
অভাবের সাথে পাঞ্জা লড়ে কোনমতে টিকে থাকা উক্ত মৎসজীবি সমিতির ভূক্তভোগী সদস্যদের মধ্যে শ্যামল রায়, অমল রায়, অধিবাস সরকার, তপন সরকার, অভি তরফদার প্রমূখরা জানান, হামকুড়া জগদীশপুর বাওড়ই তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহের একমাত্র অবলম্বন।প্রায় ২২০ বিঘা আয়তনের সু-বিশাল বাওড়কে ঘিরে ১৯৭৬ সালে এই সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সরকারী অনুমোদন পায়। সেই সময় সমিতির ম্যানেজার ছিলেন সমিতির সদস্য শান্তি বিশ্বাস।

(সমিতির সদস্য)
সমিতির সদস্যদের বাগদা থানায় একাধিক লিখিত অভিযোগ এবং পারফেক্ট টাইম নিউজ পোর্টালকে দেওয়া বাইটে দেওয়া সমিতির সদস্যদের একটা বড় অংশ সমিতির ম্যানেজার শান্তি বিশ্বাসকেই সমিতির বিপুল পরিমান অর্থ তছরুপ ও মারামারি গন্ডগোলের প্রধান হোতা হিসাবে উল্লেখ করেন। সে নাকি এ যাবৎ সমিতির কোন সদস্যদের হিসাব না দিয়ে গোপনে অদৃশ্য শক্তির ইশারায় সমিতির অ্যাকাউন্ট থেকে নয় লক্ষ টাকা তুলে আত্মসাৎ করে।

(সমিতির সদস্য)
এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে যেয়ে শান্তি বিশ্বাসের দলবলের হাতে ধারলো অস্ত্রের কোপে মারাত্বক ভাবে জখম হয় বেশ কয়েকজন সদস্য। এই ঘটনায় গত ২০২৩ সালের ২৭শে নভেম্বর তারিখে বাগদা থানায় মামলা হয় যার নং ৯৫৭।

( দা এর কোপে আহত সদস্য)
উক্ত মামলা থেকে জামিনে মক্ত হয়ে আসামী শ্যামা বিশ্বাস, গোপাল সরকার, দেবু বিশ্বাস, গোবিন্দ সরকাররা সমিতির ভেড়ি ও বাওড় থেকে রাতের অন্ধকারে দশ লক্ষ টাকার চারা পোনা ও বড় মাছ বিক্রি করে দেয় বলে অভিযোগ।

(সমিতির সদস্য)
এ ব্যাপারেও ২০২৪ সালের ১০ই এপ্রিল তারিখে বাগদা থানায় মামলা হয়েছে যার নং ৩৩৮। বর্তমানে সমিতির সদস্য সদস্যা সহ অসংখ্য গ্রামবাসীর অভিযোগ এই ঘটনার পরে উল্লেখিত ব্যাক্তির অত্যাচারে অতিষ্ঠ তারা। ভেড়ি ও বাওড়ে মাছ চাষ বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবন করছে তারা। ওই সকল বক্তিদের অত্যাচারে তারা সুষ্ঠভাবে রাস্তায় বের হতে পারছে না এবং বাওড়েও যেতে পারছে না।

(সমিতির সদস্য)
সমিতির সদস্যদের একটা বড় অংশের আহাজারী সর্বদা হুমকির সাথে অর্ধাহারে অনাহারে পরিবার নিয়ে পথে বসেছে তারা। বিষয়টি নিয়ে তারা যথাযত কত্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। এব্যাপারে প্রধান অভিযুক্ত শান্তি বিশ্বাসের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।







