অতিবৃষ্টিতে ফসলের অপুরনীয় ক্ষতি মাথায় হাত বাগদার চাষীদের

পারফেক্ট টাইম ওয়েব ডেস্ক :- অতিবৃষ্টিতে বাগদা ব্লকের শত শত একর জমির সোনার ফসলের নুঁইয়েপড়া দেহ সর্ব্বদা ক্ষত-বিক্ষত করে চলেছে কৃষকের হৃদয়। একটানা অতিবৃষ্টি যেন এবার কৃষকদের জীবনে নেমে এসেছে বিভীষিকা হয়ে। একটানা কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণে ডুবে গেছে ব্লকের বিস্তীর্ণ কৃষিজমি ধান, পাট, কলা, পেঁপে, কুঁদরী, কাকরোল, বেগুন ইত্যাদি। জমিতে যেন আশাবাদী হাজারো কৃষক সোনার দানার ‘স্বপ্ন’ বুনেছিলেন, সেই জমিই আজ শুধুই জলকাদার রাজত্ব।

একটানা অতিবর্ষনে এবার বিল জমির ধান, পাট, শাকসবজি প্রতিটি ফসলই মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জলমগ্ন অবস্থায় ডাঙা জমির ফসলের শিকড়ও পচে মরে যেতে শুরু করেছে। মড়ক লাগা মাঠে দাঁড়িয়ে ঝরছে কৃষকদের চোখে জল, কারণ শুধু ফসল নয়, হারানোর পথে সংসারের রঙিন ভবিষ্যতও। পাটকেলগাছার কৃষক সঞ্জীব পারভেজ, জাকির হোসেন মন্ডল, শরীফ তরফদার, কিনে মন্ডল, খোকন তরফদার, রুমজান মন্ডল, সাইফুদ্দীন মন্ডল, শাহজাহান মন্ডল(বড়) শাহজাহান মন্ডল(ছোট), রাজ্জাক মন্ডল অতিবৃষ্টিতে মারাত্বক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদের বিল জমির ধান পাট সব সাঁতার জলের নিচে। এছাড়াও বয়রা, মধুপুর, মশ্যমপুর, মালিপোতা, পাটকেলপোতা, আমডোব, বাশঁঘাটা, আষাঢ়ু, রনঘাট, মালিপোতা, কনিয়াড়ার কৃষকদেরও জমির পটল, বেগুন, পেঁপে রজনীগন্ধা ফুলই ইত্যাদি হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত। তৈরী করা ক্ষেতে সবে ধরন আসতে শুরু হয়েছিল, এখন সব শেষ হয়ে গেল। আজ কৃষকদের বেঁচে থাকার ভরসায় যেন ধুয়ে গেছে একটানা অতিবৃষ্টিতে।

কৃষকদের মুখে হাসি নেই, নেই এগিয়ে চলার আবেগ, তাঁদের সকল ভরষা এবার মিশে গিয়েছে অতিবৃষ্টিতে সৃষ্ট মেঠো জল-কাদার নিচে। এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, সরকারী ভাবে এখনো কোন ক্ষতিপূরণের আশ্বাস মেলেনি। তবে এলাকার বয়স্করা জানান, এই একটানা অতিবৃষ্টি যেন শুধু খাদ্যশস্যই নয়, গোটা গ্রামীণ অর্থনীতিকেই হুমকির মুখে ফেলেছে। এখন কৃষি বিভাগের প্রয়োজন দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়ে দ্রুত কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো।









