আকাঙ্ক্ষা আয়োজিত নাট্য কর্মশালা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা পালিত হলো নিজস্ব মহলা কক্ষে
পারফেক্ট টাইম নিউজ পোর্টাল থেকে নীরেশ ভৌমিকের রিপোর্ট : চাঁদপাড়া, আকাঙ্ক্ষা আয়োজিত নাট্য কর্মশালা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা পালিত হলো নিজস্ব মহলা কক্ষে। নাটকের শহর এই গোবরডাঙ্গা।
সেই গোবরডাঙ্গার কিছু তরুণ,তরুণী দ্বারা পরিচালিত একটি জনপ্রিয় নাট্য দল গোবরডাঙ্গা আকাঙ্ক্ষা নাট্য সংস্থা। গত ২৭ শে মার্চ বিশ্ব নাট্য দিবস উপলক্ষে সারাদিন ব্যাপী পালিত হলো নানান অনুষ্ঠান তাঁদের নিজেস্ব নাটকের মহলা কক্ষে।
সকালে প্রথম পর্বে ছিল দলের সকল সদস্য, সদস্যাদের নিয়ে নাট্য কর্মশালা। প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট নাট্য ব্যাক্তিত্ব প্রশান্ত সরকার মহাশয়। বৈকাল চার ঘটিকায় দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন হয় প্রদীপ প্রজ্জলনের মধ্যে দিয়ে।
উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট নাট্য ব্যাক্তিত্ব শ্যামল ভট্টাচাৰ্য মহাশয়।উদ্বোধনীনৃত্য পরিবেশন করে আকাঙ্ক্ষার খুঁদে শিল্পী অহনা দেবনাথ। এছাড়াও ছিল আবৃত্তি, সংগীত ও থিয়েটার বিষয়ক আলোচনা চক্র।
আলোচনা চক্রে অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট নাট্য গবেষক ড: জয়শ্রী মিত্র, বিশিষ্ট শিক্ষক পবিত্র কুমার মুখোপাধ্যায় ও বিশিষ্ট নাট্য ব্যাক্তিত্ব শ্যামল ভট্টাচাৰ্য মহাশয়।সব শেষে ছিল আকাঙ্ক্ষা প্রযোজিত পঙ্কজ কুমার সরকার রচিত ও রুমা সাহা পরিচালিত শ্রুতি নাটক মাধুকরী।
পরিবেশনায় সংস্থার সদস্যা রুমা সাহা ও সদস্য পিনাক মন্ডল।এটি একটি জন্মজন্মান্তরের প্রেম কাহিনী। নাটকটি সামগ্রিক ভাবে দর্শক দের ও উপস্থিত গুণী জনেদের থেকে বিশেষ প্রসংশা অর্জন করে। উদ্বোধক শ্যামল ভট্টাচাৰ্য বলেন,
আকাঙ্ক্ষার কচি কাঁচা দের হাত ধরে ছোট্ট ছোট্ট পায়ে এগিয়ে চলেছে আরো অনেক ছোটো ছোটো প্রাণ। আমি আশা রাখি এই ছোট্ট ছোট্ট পায়ে চলতে চলতে তাঁরা একদিন ঠিক সেই চাঁদের পাহাড় দেখতে পাবে। সংস্থার সম্পাদিকা আনন্দের সহিত জানান, শিশুদের শিল্প ও
সংস্কৃতি মুখী করতে এপ্রিল মাস থেকেই চালু করা হচ্ছে প্রতি মাসের তৃতীয় রবিবার করে নিজস্ব মহলা কক্ষে মাসিক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। এমন ভাবেই সকলের স্নেহে ভালোবাসায় জ্বলে উঠুক আমাদের প্রাণের প্রদীপ।