আমাদের সমৃদ্ধ ও উন্নত সাংস্কৃতি রক্ষার্থে ভবঘুরের পাশে বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায়
পারফেক্ট টাইম নিউজ পোর্টাল রিপোর্টার দীপ্যমান সাহা : বাগদা, সকল মানুষই একটা গাছের ফলের মত। প্রাকৃতিক নিয়মে একদিন তা পাকবেই, তার পর এক সময় তা যাবে ঝরে। তেমনি এই ভবঘুরে একদিন প্রকৃতির অদৃশ্য ইশারায় ছাড়বে বাগদাকে। তখন হয়তো মনে মনে বললেও বলবে, বিদায় বাগদা, বিদায়। তোমাকে খুব মিস করব।
একটানা বেশকিছু দিনের অম্লান স্মৃতি, যেন চেনা মাটি, আলো-বাতাস, তৃষ্ণা মেটানো জলকনা, পাশ দিয়ে ছুটে চলা পিচঢালা পথ, কিছু প্রিয় মুখ আর বিশেষ মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা যে ভবঘুরে মানুষটার জীবনের চলার পথের পাথেয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল, সময়ের তাগিদে একদিন বাগদা ছাড়ার প্রাক্ককালে কি মনে পড়বে ? এই ভবঘুরে মানুষটির ? এর উত্তর হয়তো হ্যাঁ, কিংবা না। কিন্তু তাতে কি-ই বা আসে যায় !!
সেদিন পথ চলতি হাজারো মানুষের নজর এড়ালেও নোংরা আবর্জনার মধ্যে মাটিতে অভুক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ভবঘুরের দিকে নজর ছিটকে পড়েছিল এক উদার মনের মানুষের। মনে প্রানে তাকে সেবা প্রদান করে প্রকূত অর্থে ঈশ্বরেরই সেবা করলেন বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্রীমতী গোপা রায়। লোকে বলে, জনপ্রতিনিধিদের ভালোবাসা নাকি ভোটের নিরিখেই পারদের মত ওঠা নামা করে কিন্তু এখানে ভোটের টানে নয়, একেবরে হৃদয়ের টানে পরম স্নেহে,
ঠিক যেন সন্তান স্নেহে ভবঘুরের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে তার জন্য নিয়মিত খাবার প্রদান সহ পরিত্যক্ত পিডব্লিউডির জায়গায় জঙ্গল পরিস্কার করে একটা নতুন চৌকি খাট কিনে, রীতিমতো শীতবস্ত্র ও মশারী টাঙিয়ে দিয়ে এবং সেখানে একটা পলিথিনের সেড করে দিয়ে নিরাপদে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেন, ঠিক যেন দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জির মানবিকতার আদর্শে অনুপ্রাণিত এক হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসায় সিক্ত এক উদার মন,
মানবতাপ্রেমী রুপে শুধু ভবঘুরে মানুষটির মনেই নয়, এলাকার অসংখ্য মানুষের মনের মণিকোঠায় জায়গা করে নিলেন বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির মানবিক সভাপতি গোপা রায়। গত ১৪ই ফেব্রুয়ারি ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় প্রথম ভবঘুরে বেচারার কষ্টে তাঁর মন কেঁদে ওঠে। তার পরই নিয়ে নেন এই তডিৎ সিদ্ধান্ত। এখনো অব্যাহত রয়েছে ভবঘুরের খোঁজ খবর নেয়া ও তাঁর খাদ্য সামগ্রী প্রদানের কাজ। সময় মত কর্মীদের মাধ্যমে ভবঘুরের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে মিনারেল ওয়াটারের বোতল সহ বিরিয়ানির প্যাকেটও।
ঈশ্বরের আশীর্বাদধন্য বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির মানবিক সভাপতি গোপা রায়ের স্নেহের পরশ পেয়ে আজ প্রচন্ড কষ্টে দিনযাপন কারী এক ভবঘুরেও আজ ক্ষুধা, শীত, বৃষ্টি ও মশার দাপট অতিষ্ঠ হওয়া থেকে মুক্ত। সভাপতি মহাশয়ার পরামর্শে এক ভবঘুরেও সেবায় আত্মনিয়োগের সুযোগ পেয়ে মানবিক ভাবে আপ্লুত বাগদা পূর্ব ব্লক তৃনমুল সংখ্যা লঘু সেলের সভাপতি ইব্রাহিম মন্ডল, রণঘাট অঞ্চল সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি নাসির বিশ্বাস, তৃনমুল ছাত্র পরিষদের রাজ কর প্রমুখরা। সভাপতি মহাশয়ার একান্ত অনুগত দলীয় কর্মীরা বলেন, আমরা গ্রামীন বাঙালি, আমাদের সমৃদ্ধ ও উন্নত সাংস্কৃতি আজ অনুন্নত সাংস্কৃতির পদতলে পিষ্ট। একবিংশ শতাব্দীর ক্রান্তিকালে এটাকে এভাবেই রক্ষা করায় হোক আমাদের দৃড় অঙ্গীকার।