এক অন্য রকম উদ্যোগ বারাসাত মধুভাষ এর

নীরেশ ভৌমিক : “বারাসাত মধুভাষ” একটা নিছকই একটা আবৃত্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । কিন্তু এখানে আবৃত্তি শিক্ষার পাশাপাশি বাচিক শিল্পের নানা দিকের অনুশীলনও চলে নিরন্তর ।

আবৃত্তি শিল্পী অভিজিৎ সেনগুপ্তের তত্ত্বাবধানে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে এই মধুভাষ গুটি গুটি পায়ে পথ চলতে চলতে আজ অনেকটাই পরিণত ও পরিচিত । তাদের ছোট ছোট ফুল কুঁড়িরা আজ নানা ক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে বাচিক শিল্পের আঙিনায় ও নানা সামাজিক ক্ষেত্রে ।

মধুভাষ এমনই একটা প্রতিষ্ঠান যারা কেবলমাত্র চার দেয়ালের মধ্যেই এই চর্চাকে আটকে না রেখে মাঝে মাঝে প্রত্যেকের সঙ্গে প্রত্যেকের একাত্মতা বাড়াতে ও আরো বেঁধে বেঁধে থাকতে ছোটখাটো ভ্রমণের আয়োজন করে।

এবারের ভ্রমণের জায়গা ছিল বেলপাহাড়ি, আমলাশোল , কাঁকড়াঝোর অঞ্চলের কিছু নদী বাঁধ, হ্রদ, ঝর্ণা , জঙ্গল সহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের অনেক কিছু ।

গত ২৮ মার্চ প্রায় 25 জন মতন ছাত্র-শিক্ষক অভিভাবক এর সমাবেশে দুটি দিন সুন্দরভাবে কাটল নানান বয়সের সকলের । প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দর্শনের সাথে তারই অঙ্গ হিসাবে শেষ দিনে অনুষ্ঠিত হলো ক্যাম্প ফায়ার যেখানে সকলেই কিছু না কিছু উপস্থাপনা নিয়ে এই ভ্রমণকে আকর্ষণীয় করে তুলল।

আবৃত্তি শিল্পী মতিলাল সেন অভিজিৎ সেনগুপ্তদের আবৃত্তির পাশাপাশি প্রত্যুষা, সাগ্নিকা, দিনান্তিকার আবৃত্তি নিবেদিতার আবৃত্তি, দিনন্তিকার গান সবই সকলের প্রশংসা আদায় করে নিল।

শিক্ষক অরিন্দম দে ও তার সহধর্মিনী মধুভাষের ছাত্রী অঞ্জনা দের নাটকীয় উপস্থাপনায় মাদারি খেলা এবং একটি শ্রুতি নাটক সকলকেই তৃপ্ত করে ও কিছু বার্তা দেয়।

চার দেওয়ালের মধ্যে প্রথাগত অনুশীলনের বাইরে একটু মনের অক্সিজেন সংগ্রহের এই প্রয়াস দৃষ্টান্তমূলক হয়ে উঠুক মধুভাষের এই উদ্যোগের সঙ্গে থাকা সকলের চাওয়া এটাই ।








