খুনের কয়েক ঘন্টার মধ্যে আসামী গ্রেফতার করে প্রশংসা কুড়ালো বাগদা থানার পুলিশ
পারফেক্ট টাইম ওয়েব ডেস্ক : দিনে দুপুরে গলার নলি কেটে যুবক খুনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাগদা কৃষি ফার্ম এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যাক্তির নাম পিযুষ হালদার (৩০)। সে, দিন মজুর মনু হালদারের একমাত্র সন্তান। তার বাড়ি বাগদার নোনচাপোতার নিমতলা পাড়ায়।
মৃত পিযুষ হালদারের মা ও বাবা মনোরঞ্জন হালদার জানান, সকালে তার বাড়ি থেকে একসাথে চা খেয়ে তার ছেলে ও সহকর্মী সঞ্জিত ঘটক পালস্ পোলিও এর ডিউটি করার জন্য বেরিয়ে ছিল। তারপর দুপুর গড়িয়ে খাবার সময় পার হয়ে গেলেও পিযুষ ঘরে না ফেরায় চিন্তিত হয়ে পড়ে এবং খোঁজা খুঁজি করতে থাকে।
তারপর সন্ধ্যার সময় তারা লোক মুখে খবর পায় তাদের একমাত্র ছেলের গলার নলিকাটা দেহ নির্মল ঘটকের নির্জন কলা বাগানে পড়ে আছে। তারা আরো জানান, তাদের ছেলে পিযুষ আসামী নির্মল ঘটকের ছেলে সঞ্জিত ঘটকের কাছে কাজের টাকা পেতো। পড়শি অনিল হালদার বলেন, পিযুষ খুব ভালো ছেলে ছিল তাকে যে বা যারা খুন করেছে তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পড়শি জানান, আসামী সঞ্জিত ঘটক হাজার হাজার টাকার বিনিময়ে চোরায় পথে আসা ধূড় ও বাংলাদেশীদেরকে এদেশের বিভিন্ন রকম জাল ডকুমেন্টস্ করে দিত সম্ভবতঃ এটা জানার পর পিযুষ তার সাথে কাজ করতে অসম্মতি জানায় হয়তো এ কারনেই খুনের মত ঘটনা ঘটতে পারে।
বাগদার অঞ্চল প্রধান সঞ্জিত সর্দার জানান, বিকালে খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান এবং তাৎক্ষনিক ভাবে পুলিশকে অবহিত করেন। দ্রুততার সাথে বাগদা থানার ওসি’ও দু’গাড়ি পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং তদন্ত শেষে অল্প সময়ের মধ্যে খুনের আসামী সহ কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার করে।
মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠান এবং খুনের মামলা রুজু করে তদন্তকার্য্য শুরু করেন। ঘটনা স্থল থেকে খুনে ব্যাবহৃত হাসুয়া, ১টা মোবাইল, জুতো, চাদর ইত্যাদি উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গেছে। এই খুনের তদন্তে নেমে পুলিশ অতি দ্রুততার সাথে খুনের কিনারা করায় কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ এই খুনের তদন্তে গাফিলতি করলে, রাতের মধ্যেই খুনের অনেক প্রমান লোপাট হয়ে যেত বলে অভিমত এলাকাবাসীর। তাদের ধারনা এই খুনের ঘটনার সঠিক তদন্ত হলে আরো বড় জাল নথিপত্র তৈরী গ্যাংয়ের হদিশ পাওয়া যেতে পারে।