গাইঘাটায় দুয়ারে সরকার শিবির পরিদর্শনে বিশেষ সচিব জয়শ্রী দাসগুপ্ত

নীরেশ ভৌমিক : রাজ্যের সর্বাধিক সংখ্যক মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত দুয়ারে সরকার প্রকল্প অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে সমস্ত রাজ্য জুড়ে।গত ২৪ জানুয়ারি থেকে ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ অবধি অনুষ্ঠিত নবম পর্যায়ের এই প্রকল্পে রাজ্যবাসীকে ৩৭ টি প্রকল্পের উপর পরিষেবা প্রদান করা হয়।

গত ৩১ জানুয়ারি গাইঘাটা ব্লকের রামনগর ও ঝাউডাঙ্গা অঞ্চলে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত নবম পর্বের দুয়ারে সরকার প্রকল্পে অঞ্চলের বাসিন্দা’গণ বিভিন্ন প্রকল্পের পরিসেবা পান।

তবে তপশিলি শংসাপত্র, বার্ধক্য ও বিধবা ভাতা, খাদ্যসাথী, রেশন কার্ড সংশোধন ইত্যাদি প্রকল্পের শিবিরে মানুষজনের লম্বা লাইন চোখে পড়ে। ঝাউডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান আন্না বিশ্বাস অধিকারী ও উপপ্রধান সমীর বিশ্বাস শিবিরে আগত মানুষজনের প্রয়োজনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।

নবান্ন থেকে রাজ্য প্রশাসনের বিশেষ সচিব জয়শ্রী দাশগুপ্ত এদিন গাইঘাটার রামনগর ও ঝাউডাঙ্গা অঞ্চলে আয়োজিত শিবির পরিদর্শনে আসেন। সঙ্গে ছিলেন বনগ্রাম মহকুমা প্রশাসক উর্মি দে বিশ্বাস।

গাইঘাটার বিডিও নীলাদ্রি সরকার ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ইলা বাকচি প্রমূখ বিশিষ্ট ব্যক্তি’গণ। ঝাউডাঙ্গার প্রধান আন্নাদেবী ও উপ-প্রধান সমীরবাবু সচিব শ্রীমতি দাশগুপ্ত সহ আগত সকল বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে স্বাগত জানান।

সচিব জয়শ্রী দেবী শিবিরের বিভিন্ন কক্ষে গিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীগণের সাথে কথা বলেন। শিবিরে উপস্থিত মানুষজনের সাথেও কথা বলেন। ইতিপূর্বে বার্ধক্য ভাতার আবেদন করেও অদ্যাবধি ভাতা চালু না হওয়ার কারণ জানতে চান।

উপ-প্রধান সমীরবাবু আবেদন করেও অদ্যাবধি ভাতা পাননি যারা তারা কি পুনরায় আবেদন করবেন কিনা? জানতে চাইলে সচিব শ্রীমতি দাশগুপ্ত তার প্রয়োজন নেই বলে জানান।

বার্ধক্য ভাতার জন্য যারা আগে আবেদন পত্র জমা দিয়েছিলেন তাদের মধ্যে যোগ্যরা অবশ্যই ভাতা পাবেন বলে সচিব জয়শ্রী দেবী আরও জানান।







