গোবরডাঙ্গায় নাট্য একাডেমীর বক্তৃতা সভা
নীরেশ ভৌমিক : পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য সংস্কৃতি বিভাগ ও পশ্চিমবঙ্গ নাট্য একাডেমী আয়োজিত এক বক্তৃতা সভা অনুষ্ঠিত হলো গত ১০ সেপ্টেম্বর গোবরডাঙ্গার শিল্পায়ন স্টুডিও থিয়েটারে। নাটকের শহর গোবরডাঙ্গার শিল্পায়ন নাট্য সংস্থার ব্যবস্থাপনায় এদিন সন্ধ্যায় আয়োজিত বক্তৃতা সভার উদ্বোধন করেন গোবরডাঙ্গার পৌরপতি শংকর দত্ত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্য বিশিষ্টজনদের মধ্যে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ নাট্য একাডেমীর সচিব দেবকুমার হাজরা, জেলা তথ্য সংস্কৃতি আধিকারিক পল্লব পাল, মহাকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক গোপাল সাহা, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক শান্তনু সাহা, গোবরডাঙ্গা থানার অফিসার-ইনচার্জ অসীম পাল ও বিশিষ্ট লেখক সম্রাট মুখোপাধ্যায়।
শিল্পায়ন স্টুডিও থিয়েটারের প্রাণপুরুষ আশিস চট্টোপাধ্যায় উপস্থিত সকলকে স্বাগত জানান। সংস্থার সদস্য ও বিশিষ্ট নাট্যাভিনেতা অভিক বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত সকলকে উত্তরীয়, ফুল গাছের চারা ও মিষ্টি প্রদানে বরণ করে নেন।
উদ্বোধক পৌরপ্রধান শ্রী দত্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে সুস্থ ও সাংস্কৃতিক শহর ও মফঃস্বলে এমনকি গ্রামে গঞ্জেও ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে উদ্যোগী হয়েছেন। নাট্য একাডেমীর সচিব দেবকুমার হাজরা বলেন, নাটককে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার মহকুমা স্তর পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই আজকের আলোচনা সভার আয়োজন।
‘সমালোচক আসলে নাটকের বন্ধু’ এই বিষয়ের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বিশিষ্ট নাট্য পরিচালক সম্রাট বাবু বলেন, সমালোচনায় নাটক দুর্বল হয় না, আরো সবল হয়। তবে সমালোচক’গণ যদি নাটকের একটি শো দেখে সমালোচনা করেন, সেটা ঠিক হবে না। নাটকটির কয়েকটি শো দেখে তবেই সমালোচনা করা উচিত। শুরুতেই শ্রী মুখোপাধ্যায় বলেন,
আজ এখানে নাটক দেখতে নয়, নাটকের কথা শুনতে এত মানুষ এখানে এসেছেন। এতে বক্তা হিসেবে আমি গর্বিত। মনে হচ্ছে আমি আজ গ্রিসের অ্যাম্পি থিয়েটারে বক্তব্য রাখছি। তবে নাটকের প্রচারে বিজ্ঞাপনের গুরুত্ব রয়েছে। বিজ্ঞাপন যেমন পাঠক বাড়ায়, তেমনি নাটককের দর্শক ও বাড়ায়। তবে শ্রী মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্যে বিষয়ের বাইরেরও অনেক কথা উঠে আসে।