গোবরডাঙ্গায় নিবেদিতা শিশু তীর্থের প্রতিষ্ঠা দিবসে রক্তদান পুরস্কার প্রদান ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠান
পারফেক্ট টাইম নিউজ পোর্টাল থেকে নীরেশ ভৌমিকের রিপোর্ট : চাঁদপাড়া, গত ১৯৯০ সালের ১৪ই এপ্রিল তারিখে বৃহত্তর গোবরডাঙ্গা এলাকায় শিক্ষার প্রসারে পথ চলা শুরু হয়েছিল গোবরডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী শিশু শিক্ষালয় নিবেদিতা শিশু তীর্থের।
গত শুক্রবার ১৪ এপ্রিল সকালে বিদ্যালয়ের ৩৩ তম প্রতিষ্ঠা দিবসে শিক্ষালয় অঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত ভগিনী নিবেদিতার পুর্ণাবয়ব মূর্তিতে মাল্যদান ও প্রদীপ প্রোজ্জ্বলনের মধ্যে দিয়ে এদিনের আয়োজিত গুণীজন সংবর্ধনা, শিক্ষার্থীদের পুরস্কার প্রদান, দুঃস্থ পড়ুয়াদের মধ্যে পুস্তক বিতরণ, স্বেচ্ছা রক্তদান, স্বাস্থ্য শিবির ও পুস্তক প্রকাশ অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, গোবরডাঙ্গা পৌরসভার ভূতপূর্ব পৌরপতি- সুভাষ দত্ত, কাউন্সিলর অসীম তরফদার, বাসুদেব কুণ্ডু, জাতীয় শিক্ষক ডঃ নিরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, অধ্যাপক বিজন কান্তি নন্দী, শিক্ষক সমীর কিশোর নন্দী, শিক্ষিকা আভা চক্রবর্তী, মনোরঞ্জন ঘোষ, বিশিষ্ট চিকিৎসক এনসি কর ও ডাঃ সুধীর মন্ডল।
এছাড়াও ছিলেন বিদ্যালয়ের পরিচালক সমিতির সভাপতি সঞ্জয় কুমার দে ও স্কুলের প্রতিষ্ঠা কালের প্রধানা শিক্ষিকা সোনামা প্রমূখ। বিদ্যালয়ের প্রাণপুরুষ শান্তনু দে (দাদাভাই) সকল বিশিষ্টজনদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থী’গণ সকল গুণীজনদের পুষ্পস্তবক ও স্মারক উপহারে বরণ করে নেন।
বিশিষ্টজনেরা সকলেই তাদের বক্তব্যে বৃহত্তর গোবরডাঙ্গা এলাকার শিক্ষার প্রসারে নিবেদিতা শিশু তীর্থ শিক্ষালয়ের অবদান তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। এদিন মঞ্চ থেকে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন পড়ুয়া জয়িতা সুরের লেখা পুস্তকের প্রকাশ করেন ডঃ বন্দোপাধ্যায় এবং বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীদের পত্রিকা আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন অধ্যাপক বিজন নন্দী। সেই সঙ্গে বিদ্যালয়ের অকাল প্রয়াত দুই শিশু শিক্ষার্থী ত্রিয়ান ও রৌণক কে সকলে স্মরণ করেন।
এ দিনের আয়োজিত রক্তদান শিবিরে প্রচন্ড তাপপ্রবাহকে উপেক্ষা করে ও ১১৩ জন ব্যক্তি স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। রক্ত দাতাদের মধ্যে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল যথেষ্ট। রক্ত সংগ্রহ করেন কলকাতার সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাংকের চিকিৎসক ও কর্মীগণ। গ্রীস্মের দিনের রক্তে সংকট কাটাতে নিবেদিতা শিশু তীর্থ স্কুল কর্তৃপক্ষের এই মহতী উদ্যোগকে সকলে সাধুবাদ জানান।
এছাড়া এদিনের অনুষ্ঠিত স্বাস্থ্য শিবিরে ব্লাড প্রেসার, সুগার, ইসিজি ছাড়াও বিনা ব্যয়ে শিশুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। নানা অনুষ্ঠান ও কর্মসূচী এবং বহু শিক্ষানুরাগী মানুষজনের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে বিদ্যালয় আয়োজিত এদিনের সমগ্র অনুষ্ঠান সার্থক হয়ে ওঠে।