গোবরডাঙ্গা পরম্পরার সংগীত কর্মশালা অনুষ্ঠিত
নীরেশ ভৌমিক : সংস্কৃতির পীঠস্থান গোবরডাঙ্গার অন্যতম সংগীত শিক্ষার প্রতিষ্ঠান পরম্পরার উদ্যোগে ৩ দিনের এক সংগীত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় স্থানীয় শিল্পায়ন স্টুডিও থিয়েটার হলে।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে সমবেত শিক্ষার্থীদের গণেশ বন্দনার মধ্য দিয়ে মঙ্গল দীপ প্রোজ্জ্বলন করে আয়োজিত কর্মশালার উদ্বোধন করেন গোবরডাঙ্গার পৌরপ্রধান শঙ্কর দত্ত। ছিলেন বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব ও পশ্চিমবঙ্গ নাট্য একাডেমীর অন্যতম সদস্য আশিস চট্টোপাধ্যায়।
পরম্পরার কর্ণধার নেতাজি শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাজু সরকার সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন এবং উত্তরীয় ও স্মারক উপহারে উপস্থিত বিশিষ্টজনদের বরণ করে নেন। বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তাদের বক্তব্যে সুস্থ-সংস্কৃতি এবং সেইসঙ্গে সংগীতের চর্চা ও প্রসারে পরম্পরার এই প্রয়াসকে সাধুবাদ জানান।
ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের অর্থানুকূল্যে আয়োজিত কর্মশালার শুরুতে গোবরডাঙ্গা হিন্দু কলেজের অধ্যাপিকা প্রতিতী দে পঞ্চ কবিকে স্মরণ করে উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন। সংগীতে অংশ নেন অধ্যাপিকা চৈতালি দেবী।
বাংলা কাব্য সাহিত্যের স্বনামধন্য কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রজনীকান্ত সেন, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, অতুলপ্রসাদ সেন ও বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলাম শুধু বাংলা কাব্য সাহিত্য নয় সংগীত জগতকেও সমৃদ্ধ করে গেছেন।
এই পঞ্চ কবিকে স্মরণ করে বাংলা সংগীত জগতে এদের অবদানকে তুলে ধরেন প্রতিতী দেবী। শুরুতেই কর্মশালায় উপস্থিত শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থী’গণ সমবেত কন্ঠে রজনীকান্ত সেনের ‘তুমি নির্মল কর মঙ্গল করে মলিন মর্ম ঘুচায়ে’ সংগীতটি পরিবেশন করেন।
কবিগুরুর পূজা পর্যায় ও স্বদেশ পর্যায় ইত্যাদি ছাড়াও নজরুলের ভক্তিগীতি বিষয়ে আলোচনা করেন অধ্যাপিকা প্রতিতী দেবী। বিভিন্ন দিনে সঙ্গীতজ্ঞ দেবদৃত চট্টোপাধ্যায়, পৃথা কুন্ডু, শর্মিষ্ঠা দাস,
মৃগনাভি চট্টোপাধ্যায় কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। কর্মশালাকে ঘিরে প্রশিক্ষনার্থী’গণের মধ্যে বেশ উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়।