রাজ্যসাহিত্য ও সংস্কৃতি।

চাঁদপাড়া বালিকার প্রাথমিক বিভাগের সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষে নানা অনুষ্ঠান

নীরেশ ভৌমিক: এলাকার কচি-কাঁচাদের শিক্ষার প্রসারে ১৯৭৪ সালে পথ চলা শুরু করেছিল চাঁদপাড়া বালিকা বিদ্যালয়ের প্রাথমিক বিভাগ। শিশু শিক্ষালয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত ১১ ফেব্রুয়ারি দিনভর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ।

এদিন সকালে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী অভিভাবক, প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষানুরাগী মানুষজনের এক বর্ণময় শোভাযাত্রা ঠাকুরনগর সড়ক ধরে জাতীয় সড়ক যশোর রোড হয়ে চাঁদপাড়া বাজারের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে।

ভারত মাতা, দেবী সরস্বতী, লক্ষ্মী, ভগিনী নিবেদিতা, স্বামী বিবেকানন্দের সাজে বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা মিছিলে কচি-কাঁচাদের দেশাত্মবোধক সংগীত ও নৃত্য এবং এনসিসি ক্যাডেটদের কুচকাওয়াজ এদিনের বর্ণাঢ্য পদযাত্রাকে বেশ আকর্ষণীয় করে তোলে।

বেলা ১১ টায় বিদ্যালয়ের সুসজ্জিত আনন্দধারা মঞ্চে মঙ্গলদীপ প্রোজ্জ্বলন করে আয়োজিত সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের সূচনা করেন শিক্ষারত্ন প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাবুলাল সরকার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্য বিশিষ্টজনদের মধ্যে ছিলেন, শিক্ষানুরাগী কপিল ঘোষ, সন্তোষ মৈত্র, চিত্ত বিশ্বাস, শিক্ষিকা মিনতী রায় প্রমূখ।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শিপ্রা সাহা ও পরিচালন সমিতির সভাপতি দ্বিজেন্দ্রনাথ চৌধুরী উপস্থিত সকলকে স্বাগত জানান। বিদ্যালয় অঙ্গনে এদিন সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ উপলক্ষে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের আবক্ষ মূর্তির উন্মোচন করেন উদ্বোধক বাবুলাল সরকার।অপরাহ্ণে অনুষ্ঠিত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করে। সন্ধ্যায় পড়ুয়া’গণ পরিবেশিত অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাহিনী অবলম্বনে নৃত্যনাট্য ‘ক্ষীরের পুতুল’ সমবেত দর্শক সাধারনকে মুগ্ধ করে।

অনুষ্ঠানে প্রাক্তন ছাত্রী জি-বাংলা খ্যাতা মোহনা ও শ্রেষ্ঠার নৃত্যশৈলী এবং স্থানীয় অঙ্গহার ডান্স একাডেমীর নৃত্যানুষ্ঠান সমবেত সকলের প্রশংসা লাভ করে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক ও এলাকার শিক্ষানুরাগী মানুষজনের আন্তরিক উদ্যোগে বিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে এলাকায় বেশ সাড়া ফেলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *