ঠাকুরনগরে প্রতিধ্বনির কবি বন্দনা
নীরেশ ভৌমিক : কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪ তম জন্মজয়ন্তী যথাযোগ্য মর্যাদা সহকারে উদযাপন করেন ঠাকুরনগরের প্রতিধ্বনি সাংস্কৃতিক সংস্থার সদস্য’গণ।
ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের আনুকূল্যে গত ১২ মে সন্ধ্যায় ঠাকুরনগরের বিনয় সদনে আয়োজিত কবি বন্দনার অনুষ্ঠানের সূচনায় কবিগুরুর প্রতিকৃতিতে ফুল-মালা অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান সংস্থার সদস্য’গণ।
কবি প্রণামের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষক গৌরাঙ্গ মন্ডল, বিনয় মজুমদার স্মৃতি রক্ষা কমিটির সম্পাদক শিবেন মজুমদার, সংস্কৃতি প্রেমী শিক্ষক সুশান্ত বিশ্বাস প্রমূখ।
প্রতিধ্বনির সম্পাদক পার্থপ্রতিম দাস উপস্থিত সকলকে স্বাগত জানান। সভাপতি জয়দেব হালদার সকল অতিথিদের পুষ্পস্তবকে বরণ করে নেন।
বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তাদের বক্তব্যে দেশবাসীর গর্ব এশিয়া মহাদেশের মধ্যে সর্বপ্রথম নোবেল পুরস্কারে ভূষিত বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন, কর্ম, আদর্শ এবং তাঁর বিভিন্ন সৃষ্টি ও জীবন দর্শনের উপর আলোকপাত করে মনোজ্ঞ ভাষণ দেন।
সংস্থার কচি-কাঁচাদের নৃত্যানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আয়োজিত কবি প্রণামের অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। সংস্থার ছোট বড় সকল সদস্য’গণ সংগীত, আবৃত্তি, নৃত্য এবং কথায়-কবিতায় কবিকে শ্রদ্ধা জানান।
ছোটদের সমবেত নৃত্য, সমন্বিতার কন্ঠে কবিগুরুর আগমন কবিতা এবং ছোট্ট আরাধ্যার কন্ঠে কবির সোনার তরী কবিতা আবৃত্তি সমবেত দর্শক ও শ্রোতৃ মন্ডলীর উচ্চসিত প্রশংসা লাভ করে।
সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সুশান্ত বিশ্বাস ও সম্পাদক পার্থপ্রতিম দাস সহ সকল সদস্য’গণের আন্তরিক সহযোগিতায় এবং শিক্ষিকা কেয়া বিশ্বাস এর পরিচালনায় প্রতিধ্বনি সাংস্কৃতিক সংস্থা আয়োজিত এদিনের কবি প্রণামের অনুষ্ঠান বেশ মনোগ্রাহী হয়ে ওঠে।