বিনোদনরাজ্য

থিয়েটার ভিত্তিক আলোচনা চক্র সম্পন্ন করলো শ্রীনগর হাবড়া নাট্য মিলন গোষ্ঠী

নীরেশ ভৌমিক : ভারত সরকারের সংস্কৃতি দপ্তরের আর্থিক সহায়তায় ১০ই ডিসেম্বর,২০২৩ শ্রীনগর হাবড়া নাট্য মিলন গোষ্ঠী সম্পন্ন করলো থিয়েটার ভিত্তিক আলোচনা চক্র।”আমরা যে থিয়েটার করছি, সেটা সঠিক পথে করছি?”শীর্ষক আলোচনায় অংশ গ্রহণ করতে আসে ব্রাত্যসরথি (কোলকাতা),কোলকাতা প্রেক্ষাপট (কোলকাতা),হাবড়া নান্দনিক (হাবড়া),ঠাকুরনগর থিয়েট্রিকস(ঠাকুরনগর),বাগনা আলো নাট্য সংস্থা(গাইঘাটা )।শ্রীনগর হাবড়া নাট্য মিলন গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে সকল শিল্পীদের পুস্পস্তবক দিয়ে সম্মান জানিয়ে শুরু হয় শীর্ষক আলোচনা।

কলকাতা প্রেক্ষা পটের মৈনাক চক্রবর্তী তার বক্তব্যে বলেন থিয়েটার চর্চা যারা করছে,তারা থিয়েটার বেঁচে থাকার কথা ভেবে চর্চা করছে না,তার জন্য দায়ী পুর্ব সুরীরা-কারণ তারা উত্তরসুরিদের কথা ভাবতেই যাচ্ছে পেশদারিত্বকে ধরে রাখতে গিয়ে।ঠাকুরনগর থিয়েট্রিকস এর জগদীশ ঘরামি বলেন-যে দর্শকের নাটকের স্বার্থকতা,সেই দর্শকদের কাছে না পৌছে আমরা প্রসিনিয়ামকে ছেড়ে ইন্টিমেটের দিকে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছি,ফলে দর্শকের পরিসর কমে আসছে।অভিনেতা বিভাস সাহা তার বক্তব্যে বলেন-আমাদের মানসিক আদান প্রদান কম থাকার জন্য আমরা পিছিয়ে পড়ছি ।প্রেম বাবু বলেন থিয়েটার দলের অহং বোধ থাকলে আমাদের পিছিয়ে পড়া স্বাভাবিক।

শ্রাবণী সর্দার বলেন-আমাদের প্রথম কাজ নাটককে ভালোবাসা,যেমন ভালবেসেছি আমি।জয়ন্ত চক্রবর্তী বলেন থিয়েটার এর গভীরতা মাপ করতে আমরা পারছি না।সবশেষে আয়োজক সংস্থার কর্ণধার দিলীপ ঘোষ বলেন-থিয়েটার শিল্পীদের সৈনিকের মত কাজ করলে হবে না,হতে হবে নাট্যকর্মী,বাড়াতে হবে নাট্য আন্দোলণের গতি।সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ব্রাত্যসরথির পরিচালক সৌমেন দাস।তিনি বলেন-থিয়েটারকে সমৃদ্ধ করতে হলে ভালো মানুষ হতে হবে।সবশেষে সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সমাপ্তি ঘোষণা করেন শ্রীনগর হাবড়া নাট্য মিলন গোষ্ঠীর কর্ণধার দিলীপবাবু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *