দৃষ্টির নিজস্ব নাট্যচর্চা কেন্দ্র ‘শিল্পশালায়ে’ পালিত হলো বিদ্যাসাগরের জন্মদিবস
নীরেশ ভৌমিক : গত ২৬শে সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দত্তপুকুর দৃষ্টি নাট্য সংস্থার উদ্যোগে “দৃষ্টি”র নিজস্ব নাট্যচর্চা কেন্দ্র শিল্পশালায়ে পালিত হলো বিদ্যাসাগরের জন্মদিবস। পশ্চিমবঙ্গের জেলা স্তরের নাট্য দলগুলির মধ্যে দত্তপুকুর দৃষ্টি বর্তমানে অন্যতম জনপ্রিয় ও সর্বজনবিদিত একটি দল।
১৯৯০ সালে দল গঠনের পর থেকেই বিভিন্ন গঠনমূলক ও সংস্কৃতিমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে দৃষ্টি আজ বাংলা থিয়েটার চর্চার জগতে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। প্রতিবছরই তারা এই দিনটি মহা সমারোহে পালন করে আসছে। এদিনের সমগ্র অনুষ্ঠান টি আয়োজন ও পরিচালনার দায়িত্বে ছিল “দৃষ্টি”র কনিষ্ঠ সদস্য ও সদস্যারা ,
দত্তপুকুর দৃষ্টি তাদের দীর্ঘ দিনের থিয়েটার ও সাংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্ম কে যে কতটা আকৃষ্ট করতে পেরেছে এর থেকেই তা প্রমাণিত। এদিনের অনুষ্ঠানটি একেবারে ঘরোয়া পরিসরে আয়োজিত হলেও অনুষ্ঠানের বিষয় বস্তু ছিল বিদ্যাসাগর ও বর্তমান সময়ে তাঁর প্রাসঙ্গিকতার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কে নিয়ে।
“দৃষ্টি” র নিজস্ব সদস্য বৃন্দ ও দত্তপুকুর এবং তার বাইরের বেশ কয়েকটি নাট্য দলের সদস্যদের নিয়ে প্রায় ৩০-৩৫ জনের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি একটি অন্য মাত্রা পায়। উপস্থিত সকলেই এই বিশেষ দিনটিকে নিয়ে তাঁদের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধি প্রকাশ করেন এবং
এই ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য আয়োজকদের কে অভিনন্দন জানান। এদিনের বিশেষ প্রাপ্তি হলো বিদ্যাসাগরের জন্মদিন উপলক্ষে “দৃষ্টি”র একটি বিশেষ নিবেদন “গুরুর গুরু” যা দর্শকদের কাছে খুবই মনোগ্রাহী হয়। উপস্থিত সকলের জন্যই এদিন নৈশভোজের ব্যাবস্থা করা হয়।
অনুষ্ঠানের একদম শেষে “দৃষ্টি” র কর্ণধার মাননীয় শ্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্য এই দিনের তাৎপর্য ও আগামীতে তাঁদের থিয়েটার কেন্দ্রিক যে কর্মসূচী সে বিষয়ে বক্তব্যর মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
