গোবরডাঙায় মহা সমারোহে অনুষ্ঠিত হল হাবড়া নান্দনিক নাট্য সংস্থা নান্দনিক নাট্যৎসব ২০২৩-২৪
নীরেশ ভৌমিক : হাবড়া নান্দনিক নাট্যগোষ্ঠীর আয়োজনায় গত ২৯-৩১ মার্চ গোবরডাঙ্গার সংস্কৃতি কেন্দ্রে তিনদিনের নাট্যোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নাট্যাভিনেতা জীবন অধিকারী, সুশান্ত মজুমদার, পরিতোষ ঘোষ, মুকুল বসু, প্রেমেশ্বর বাড়ই, সংস্থার কর্ণধার দেবব্রত দাস সহ অন্যান্যরা।
সম্মিলিত ভাবে মঙ্গলদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে নান্দনিক উৎসব-এর শুভ সূচনা করেন উপস্থিত বিশিষ্টজনেরা । তিনদিনের এই অনুষ্ঠানে বেশ কিছু নাটক, মূকাভিনয় ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় বলে জানান, দলের অন্যতম সদস্য তিমির বিশ্বাস।
দলের পক্ষ থেকে বিশিষ্ট অভিনেতা পরিতোষ ঘোষকে এবারের নান্দনিক সম্মান প্রদান করা হয়।পরিতোষবাবু প্রায় ৫০ বছর জেলায় বিভিন্ন নাট্য দলে সুনামের সাথে অভিনয় করেছেন এবং নাট্যাভিনেতা হিসেবে তাঁর অবদান আজ সর্বজনবিদিত।
এরপর মঞ্চে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা নান্দনিকের সুদীর্ঘ পথ চলার ইতিবৃত্ত তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। তাঁদের বক্তব্যের মূল বিষয় ছিল নাটকের প্রয়োজনীয়তা এই সমাজে ছিলো, আছে ও থাকবে।
ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের আর্থিক সহায়তায় আয়োজিত নান্দনিক উৎসবে সেমিনার, নাটক ও মাইম পরিবেশিত হয় । সেমিনারের বিষয় ছিল “বাংলা নাটকের অতীত ও বর্তমান”। সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব আশিস দাস ও নাট্য আকাদেমির সদস্য আশিস চট্টোপাধ্যায়।
সঞ্চালক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট লেখক ভবানী ঘটক। ৩ দিনের এই নাট্যোৎসবে হাবড়া নান্দনিকের প্রযোজনা, বাদল সরকার রচিত নাটক “আবু হোসেন” । পশ্চিমবঙ্গ নাট্য একাডেমীর আর্থিক সহায়তায় নির্মিত নাটকটির নির্দেশক দেবব্রত দাস।
এছাড়াও এই নট্যোৎসবে “যাতা বুড়ির কুয়ো”, “এ পলিটিক্যাল ড্রিম”, “এক আহাম্মকের গল্প”, “ঠাকুরনগর থিয়েক্ট্রিক্স “-এর মূকাভিনয় ও “মহুয়া সুন্দরীর পালা” পরিবেশিত হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় তিমির বিশ্বাস অনন্য।
তিমির বাবু জানান- ” অবক্ষয়িত সমাজে মূল্যবোধ ও সুস্থ সংস্কৃতি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে আমাদের এই প্রাণের আয়োজন। সমাজের রকমারি বিষবৃক্ষকে উৎপাটিত করতে আমাদের এই প্রয়াস চলবে।” ৩ দিনের এই নাট্যানুষ্ঠানকে ঘিরে প্রেক্ষাগৃহ ভর্তি দর্শক সাধারণের উৎসাহ- উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মত ।