পালিত হল জাতীয় চিকিৎসক দিবস ও প্লাস্টিক সচেতনতা শিবির

নীরেশ ভৌমিক :- পয়লা জুলাই। জাতীয় চিকিৎসক দিবস। সমাজের প্রতি চিকিৎসকদের যে ভূমিকা, সেই ভূমিকা মাথায় রেখেকে চিকিৎসকদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবার জন্য পশ্চিমবঙ্গের রূপকার ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিন ও মৃত্যু দিন কে জাতীয় চিকিৎসক হিসেবে দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

সম্মানের সঙ্গে শ্রদ্ধার সঙ্গে এই দিনটা সর্বত্রই পালিত হয়েছে আজকে। কিন্তু এরই মধ্যে প্রকৃতির সব থেকে বড় শত্রু যে প্লাস্টিক সেই প্লাস্টিক মুক্ত পরিবেশ গড়তে কিছু মানুষ যে সদর্থক ভূমিকা নিয়ে স্বাস্থ্যকে সুন্দর রাখবার অঙ্গীকারের বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেনা তার নমুনা পেলাম গুমা রবীন্দ্র বিদ্যাপীঠ এ।

হাবরা ব্লক টু এর অধীন এই বিদ্যালয়ে ব্লকের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত হলো এক প্লাস্টিক সচেতনতা শিবির । যে শিবিরে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট পরিবেশ কর্মী ও শিক্ষক অরিন্দম দে। সঙ্গে ছিলেন বিশিষ্ট পরিবেশ সচেতনতায় প্লাস্টিক ডোনেশন ক্যাম্পের আয়োজক চঞ্চল বাগচী মহাশয় এবং বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক অমিত সরকার মহাশয়।

জেলায় ব্যতিক্রমী বিদ্যালয় হিসাবে বিদ্যালয়ের ইকো ক্লাবের ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের নির্দেশক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপস্থিতিতে এই আলোচনা সভায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমিতবাবু তাদের আজকের এই কর্মসূচি কেন তা সবিস্তারে আলোচনা করেন। চঞ্চল বাগচী মহাশয় তার আলোচনায় বলেন , এই প্লাস্টিক উৎপাদন বন্ধ করা কোনভাবেই সম্ভব নয় তাই এই প্লাস্টিককে কিভাবে কাজে লাগানো যায় তার ভাবনা আমাদের ভাবতে হবে ।

এরপর অরিন্দম দে তার প্লাস্টিক বিষয়ক যন্ত্রণা ও তার সঠিক ব্যবস্থাপনায় তাকে নিয়ন্ত্রণ করার পথ বাতলে দিয়ে তার বিকল্প ভাবনা ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি হাতে-কলমে কিছু দৃষ্টান্ত ছাত্র ছাত্রীদের সামনে তুলে ধরে বিকল্পের সন্ধান দেন। স্মার্ট টিভির মাধ্যমে তিনি আমরা চাই বা না চাই প্লাস্টিক কত রকম ভাবে আমাদের বাড়িতে চলে আসে।

কিভাবে তা আমাদের গ্রাস করছে এবং এই পরিবেশের প্রতি আমাদের উদাসীনতায়পএই প্লাস্টিক কিভাবে পরিবেশের ক্ষতি করছে ও এ ব্যাপারে আমাদের কি করনীয় তা ছবির সাহায্যে দেখিয়ে দেন । বিকল্প সন্ধান দিতে গিয়ে তিনি ইকো ব্রিকের নির্মাণ দেখান। হাতে-কলমে দেখান বাজারের ব্যাগ তৈরীর পদ্ধতি নিখরচায় কিভাবে সম্ভব তাও দেখিয়ে দেন ।

সবশেষে তিনি তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার প্রকাশের মধ্য দিয়ে সকলের সদিচ্ছাকে সঙ্গে নিয়ে প্লাস্টিক নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। গুমা রবীন্দ্র বিদ্যাপীঠের ইকো ক্লাবের ছাত্রছাত্রীরা এই আলোচনা চক্রের পর নির্দিষ্ট প্রশ্নমালা নিয়ে বিদ্যালয়ের সংলগ্ন এলাকায় সাতটি দলে ভাগ হয়ে গিয়ে একটি সমীক্ষা চালান শিক্ষক শিক্ষিকার তত্ত্বাবধানে ।

সেই সমীক্ষায় উঠে আসা তথ্য শিক্ষক শিক্ষিকারা সেই দিনই সকলের উপস্থিতিতে পর্যালোচনা করে একটি রিপোর্ট তৈরি করেন। এই রিপোর্ট জাতীয় পরিবেশ মন্ত্রকের যে পোর্টাল সেই পোর্টালে বিগত দিনের মতো এবারও প্রকাশ করবার অভিপ্রায় জানালেন প্রধান শিক্ষক অমিতবাবু । সকল ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষক শিক্ষিকা ও উপস্থিত সকলের সদর্থক ভূমিকায় আজকের এই আয়োজন অত্যন্ত সফল ও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে ।








