পুত্রের সদিচ্ছায় বাবা-মায়েরই নামাঙ্কিত বাড়ীর নাম ফলক উন্মোচন করলেন সয়ং বাবা
পারফেক্ট টাইম নিউজ পোর্টাল রিপোর্টার গৌরব কর্মকার, ওমর ফারুকের সাথে ক্যামেরায় ইয়াদ আলী মন্ডল ও উৎস সাহা : বাগদার বিশিষ্ট সাংবাদিক উত্তম কুমার সাহার বাড়ির নামফলক উন্মোচন হলো আজ বিকাল ৪টায়। এদিন স্থানীয় সাংবাদিকগন ও কিছু গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ভবনটির ‘নাম ফলক’ উন্মোচনে ও প্রধান ফটকের ফিতে কেটে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করেন উত্তম বাবুর পিতা বিশিষ্ট শিক্ষক বীরেন্দ্র নাথ সাহা।
তাঁকে সহযোগিতা করেন, এলাকার বর্ষীয়ান সমাজ সেবক আনছার আলী মন্ডল ও কার্ত্তিক চক্রবর্তী। শারীরিক অসুস্থতার কারণে সরাসরি উপস্থিত থাকতে না পারলেও ওই সময়ে উদ্বোধনের শুভকামনা করে ভার্চুয়ালী সহযোগিতা করেন, উত্তম বাবুর স্নেহময়ী মাতা শৈল বালা সাহা। অনুষ্ঠান চলা কালীন সময়ে আমন্ত্রিত অতিথিদের গায়ে-মাথায় বিভিন্ন প্রকার ফুলের পাপড়ি বৃষ্টি করে অভিবাদন জানান উত্তম বাবুর স্ত্রী চন্দনা সাহা।
উদ্বোধন শেষে নতুন নামকরণে সমৃদ্ধ, “বীরেন্দ্র শৈল কটেজ” এ আয়োজন করা হয় এক চা-চক্রের। এই চা-চক্রে উল্লিখিত সাংবাদিকগনের সাথে গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সমাজ সেবক আনছার আলী মন্ডল, কার্ত্তিক চক্রবর্তী, সাংবাদিক গৌরব কর্মকার, ওমর ফারুক, ইয়াদ আলী মন্ডল, চিত্র সাংবাদিক আজিজুর মন্ডল, শুভজিৎ পাল, সুকান্ত দাস, দেবব্রত সরদার, শুভ সরকার, দেবজ্যোতি বিশ্বাস, দীপঙ্কর বিশ্বাস, সৌভিক বিশ্বাস, অপূর্ব মন্ডল প্রমুখ।
উল্লেখ্য, উক্ত ‘নাম ফলক’ উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট হোমিও চিকিৎসক তথা সাংবাদিক উত্তম কুমার সাহার বাবা-মায়ের নামাঙ্কিত “বীরেন্দ্র শৈল কটেজ” এর শুভ উদ্বোধন কালে তার আত্মীয়স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীদের অনেকেই সরাসরি উপস্থিত থাকতে না পারলেও দুর থেকে তাঁরা হার্দিক ভাবে অনুষ্ঠানটির নিরন্তর শুভকামনা জানিয়েছেন বলে জানান, উত্তম বাবু।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সমাজ সেবক কার্ত্তিক চক্রবর্তী বলেন, এমন গঠন মূলক ও পরিমার্জিত অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। অন্যরা হয়তো বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর তাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে তাদের নামে বাড়ির নামকরন করেন। কিন্তু সন্তানের সদিচ্ছায় বাবা-মায়ের জীবদ্দশায় তাদের হাতেই নিজেরই নামাঙ্কিত ‘ফলক উন্মোচনের’ ঘটনা বিরল।
ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য নিঃসন্দেহে এটা একটা অনুপ্রেরণা মূলক কর্মকাণ্ড। আমার জীবনে এই প্রথম এমন একটা অনুষ্ঠানে এসে রীতিমতো অবিভূত হয়েছি। সমাজ সেবক আনছার আলী মন্ডল বলেন, আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অনেক প্রকার অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণের সুযোগ হয়েছে কিন্তু এই অনুষ্ঠানটা একটু ব্যতিক্রমী বলেই মনে হচ্ছে আমার।
এটা ভবিষ্যতে সমাজ গঠনের জন্য একটা বড় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এমন সমাজ সংস্কার মূলক অনুষ্ঠানে এসে বেশ ভালোই লাগছে। বিশিষ্ট হোমিও চিকিৎসক তথা সাংবাদিক উত্তম বাবুর এহেন কর্মকাণ্ডের জন্য কুর্নিশ জানাই।