আপোসহীন অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, আপনার এলাকার টাটকা সংবাদ পরিবেশনে সর্বদা দায়বদ্ধ।

অনুষ্ঠানউৎসবজেলার খবরবিনোদনসর্ম্বধনা

প্রাকৃতিক বিপর্যয় জয় করে, অনুষ্ঠিত হলো বর্ণমালা উৎসব

নীরেশ ভৌমিক : সম্প্রতি ঠাকুরনগর বর্ণমালা’র আয়োজনে বর্ণমালা প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হলো চার দিনব্যাপী “বর্ণমালা উৎসব ” ২০২৫। উদ্বোধন করেন চলচ্চিত্র অভিনেতা ও নাট্যকার প্রদীপ ভট্টাচার্য।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন নাট্য পরিচালক ইন্দ্রনীল ঘোষ, এই সময়ের জনপ্রিয় সাহিত্যিক সুরঞ্জন প্রামানিক,সাংবাদিক আব্দুল অলিল সাহেব, সাংবাদিক নীরেশ ভৌমিক। সামাজিক কাজে বিশেষ অবদানে ‘হাউস এন্ড ফ্রেন্ডস’ এর সম্পাদকে স্মারক সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয়।

তন্ময় প্রসাদ ও পূজা বিশ্বাসের পরিচালনায় “মম চিত্তে নিতি নৃত্যে ” নৃত্যালেখ্যে বর্ণমালা’র শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করে। গোবরাপুর, সংবৃত্তি’র প্রযোজনা নাটক ” দায়” এবং নাট্যকার ইন্দ্রনীল পরিচালিত নাটক “ইছামতির তীরে” দর্শক সমাদৃত হয়। নাটক শিক্ষারই অঙ্গ। ঠাকুরনগরে থিয়েটার হল নেই।

থিয়েটার হল ছাড়া পূর্ণাঙ্গ নাটকের সমাহারে ; নাট্য উৎসব ঠাকুরনগরে এই প্রথম।গ্রাম্য মানুষ থিয়েটার হলে গিয়ে ; নাটক দেখা সম্ভব হয়ে ওঠে না। বর্ণমালা উৎসবে,চারপাশের গ্রামের মানুষ ; দলে দলে প্রতিবছর যোগদান করেন। “সারা বাংলা অঙ্কন প্রতিযোগিতা “য় প্রায় দুই শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করেন।

দ্বিতীয় সন্ধ্যায় তন্ময় প্রসাদ ও নীলাঞ্জনা বিশ্বাসের পরিচালনায় নৃত্যানুষ্ঠান “অমৃত শ্বাসে তা তা থৈ থৈ ” পরিবেশিত হয়। বিশিষ্ট নাট্যকার ও চলচ্চিত্রভিনেতা বাসুদেব মুখার্জি অভিনীত রবি ঠাকুরের গল্প অবলম্বনে নাটক “কাবুলিওয়ালা” দেখার জন্য সাধারণ মানুষের ভিড়ে মাঠ উপচে পড়ে।

তৃতীয় দিনে “সারা বাংলা নৃত্য প্রতিযোগিতা”য় বিভিন্ন জেলার ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেন। সন্ধ্যায় তন্ময় প্রসাদ ও বাবলী বাড়ৈ পরিচালিত ” আজ ফাগুনে রঙ লেগেছে ” পরিবেশিত হয়। নাট্যকার জীবন অধিকারী’র নাটক “অস্থিত্ব ” এবং ইন্দ্রনীল পরিচালিত নাটক “শেষ সংলাপ” দর্শকমহলে বিশেষভাবে সমাদৃত হয়।

সমাপ্তি দিবসে “সারা বাংলা সংগীত প্রতিযোগিতা “র আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় চলচ্চিত্রভিনেতা ও নাট্যকার সঞ্জীব সরকার অভিনীত নাটক “মালা ও মলি” দেখার জন্য দর্শকাসন গ্রামের মানুষের উপস্থিতিতে টইটুম্বুর। বর্ণমালার সাংস্কৃতিক ভাবনা চিন্তার পাশাপাশি ; পরিবেশ ভাবনার বিষয়টি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত ;

দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে: সকল অতিথি, নাট্যকর্মী এবং ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে চারা গাছ তুলে দেওয়া হয়। বর্নমালা’র সদস্য ইন্দ্রনীল বলেন– ” যুব সমাজ নেশায় বুদ হয়ে আছে ; যুব সমাজের মুক্তির একমাত্র উপায় সুস্থ সংস্কৃতি চর্চা। তাই নতুন জেনারেশনকে নাট্য চর্চার সাথে যুক্ত করতে চাই ।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *