বাগদাতে রেকর্ড সংখ্যক সোনার বিস্কুট উদ্ধারে বিএসএফের ৬৮ নং ব্যাটলিয়নের কতিপয় বিচক্ষন অফিসারকে কুর্নিশ এলাকার বুদ্ধিজীবিদের
পারফেক্ট টাইম নিউজ পোর্টাল রিপোর্টার ওমর ফারুকের সাথে ক্যামেরায় ইউ. সাহা : বাগদার মামাভাগিনা পদ্মপুকুর সীমান্তের নওদাপাড়া এলাকা থেকে প্রায় আড়াই কেজি ওজনের ২১ পিস সোনার বিস্কুট উদ্ধার হলো আজ বিকালে। এবারও এই সোনার বাহক ছিল একই ব্যাক্তি। যার নাম আলিম সর্দার, বাড়ী বাগদার নওদাপাড়ায়। সে বেগুনে স্প্রে করা বিষের বাতিল কৌটায় করে আনছিল এই সোনার বিস্কুট গুলি। গত ৩দিন আগেও সে স্প্রে মেশিনের ভিতরে করে ১৯ পিস সোনার বিস্কুট বাংলাদেশ থেকে ভারতে আনার সময় একই ব্যাটলিয়নের জওয়ানদের হাতেই ধরা পড়ে ছিল। উক্ত এলাকায় কর্মরত বিএসএফের ৬৮ নং ব্যাটলিয়নের কতিপয় সুদক্ষ অফিসারের তৎপরতায় মাত্র ৩ দিনের ব্যাবধানে প্রায় ৫ কেজির কাছাকাছি সোনা উদ্ধার, রীতিমত সাড়া ফেলে দিয়েছে এলাকার সচেতন মহলে। অনেক দিন হলো বাগদা এলাকায় এতবড় সোনার চালান বিএসএফের অন্যান্য ব্যাটলিয়ন দেখাতে পারিনি বলে জানা যাচ্ছে। আজ বিকেলে উদ্ধারকৃত কয়েক কোটি টাকা মুল্যের প্রায় আড়াই কেজি ওজনের ২১ পিস সোনার বিস্কুট জব্দে বিএসএফের ৬৮ নং ব্যাটলিয়নের যে সকল জওয়ানদের ভূমিকা রীতিমত প্রশংসার দাবী রাখে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ৬৮ নং ব্যাটলিয়নের ইনেস্পেক্টর ওঙ্কার নাথ ও ইনেস্পেক্টর(জি) উদয় সেন।
জানা গেছে, উদ্ধারকৃত এই সোনার বাহক নওদাপাড়া গ্রামের পালাতক আসামী আলিম সর্দারকে বিএসএফ হন্যে হয়ে খুঁজছে এবং আজ সন্ধ্যায় তার বাড়ি ঘিরে ফেলে আর কোন সোনা আছে কিনা তা দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসাররা স্বচক্ষে দেখেছে এবং তন্য তন্য করে খুঁজেছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। ঘটনার বিবরনে প্রকাশ, সোনার বিস্কুট উদ্ধার কালে ওপি/গেট ম্যানেজমেন্ট পার্টিতে ছিলেন, এএসআই ডব্লিউ এ মন্ডল ও এম/সিটি সোনম কুমারী। তাদের উপস্থিতিতে কৃষিকাজ সেরে বেড়বিহীন এলাকা/বাম্বু গেট দিয়ে ফেরা আলম সর্দার ও তার স্ত্রী দু’জনে একটি প্লাস্টিকের বালতিতে রাখা কীটনাশকের কৌটা চেকিংকালে নিজেরা ধরা পড়ে যাবার আশংকায় বালতিটি ফেলে পালিয়ে যায়।ওপি পার্টি তাদের ধাওয়া করলেও ধরতে পারেনি বলে জানা যায়। পরে উক্ত অফিসারদের উপস্থিতিতে প্লাস্টিকের বালতিতে রাখা কীটনাশকের কৌটা খুলতেই উদ্ধার হয় উল্লেখিত ২১ টি সোনার বিস্কুট।