আপোসহীন অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, আপনার এলাকার টাটকা সংবাদ পরিবেশনে সর্বদা দায়বদ্ধ।

উন্নয়নের খবরগ্রামের খবররাজনৈতিক দলের খবর।

বাগদায় ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ সভায় গ্রামবাসীর দাবীর ভিত্তিতে রেজুলেশনে স্থান পেল ‘বহুল প্রতীক্ষিত রাস্তা’

(বক্তব্য রাখছেন পঞ্চায়েত প্রধান সঞ্চিত সর্দার)

পারফেক্ট টাইম ওয়েব ডেস্ক :- উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা এফ.পি স্কুলে তিনটি বুথের ভোটারদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হলো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ শীর্ষক এক আকাঙ্ক্ষিত সভা। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন বাগদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সঞ্চিত সর্দার।

(বক্তব্য রাখছেন ব্লক নেতৃত্ব পরিতোষ বাবু)

এদিন সভা মঞ্চে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগদা পূর্ব ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ পরিতোষ কুমার সাহা, জেলা পরিষদের সদস্যা কবরী দত্ত মল্লিক, বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুদেবী মণ্ডল, বাগদা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুনীল পাল এবং তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সজল রায়।

(ভোটারদের লিখিত দাবীপত্র)

গ্রামবাসীরা লিখিত চিঠির মাধ্যমে তাঁদের নিজ নিজ পাড়ার গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা ও দাবিগুলি তুলে ধরেন। সেই দাবিগুলি সভায় রেজুলেশনের আকারে লিপিবদ্ধ করেন পঞ্চায়েত প্রধান। পাশাপাশি উপস্থিত গ্রামবাসীদের স্বাক্ষর সংগ্রহের মাধ্যমে দাবি-পত্রকে আনুষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়।

(কাদামাটির এক অবহেলিত রাস্তা)

এই দাবিগুলির মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল ৭৭ নম্বর পার্টের সুকান্ত সাহার বাড়ি থেকে শুরু করে ভায়া সন্তোষ কুমার সাহা ও সঞ্জয় সাহা হয়ে উত্তম কুমার সাহার সীমানা পর্যন্ত বহুল প্রতীক্ষিত রাস্তাটির সংস্কার সহ ড্রেন নির্মান।

(পূর্বে আবেদন করার কিঞ্চিত নমুনা)

দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে বারংবার গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও বিডিও সাহেবকে লিখিত আবেদন জানালেও রাস্তার সংস্কার হয়নি বলে তীব্র মনোকষ্ট ছিল ৭৭ নম্বর পার্টের একাংশের মাঝে। তবে এবারের সভায় রাস্তার বিষয়টি নেতৃত্বের গুরুত্বের ভিত্তিতে ৬ নম্বর অগ্রাধিকার ক্রমে স্থান পেয়েছে।

(অসমান মাটির পথে স্কুলগামী বাচ্চারা)

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন বেতনা নদীর দুই পাড়ের হাজারো মানুষ হাট-বাজার, একাধিক ব্যাংক, হাসপাতাল, পশু হাসপাতাল, বিডিও অফিস, পোস্ট অফিস, গুরুত্বপূর্ণ মন্দির এবং তিনটি স্কুলের শতশত ছাত্রছাত্রী যাতায়াত করে। এ কারণেই এই রাস্তার গুরুত্ব বেড়ে যায় বহুগুন।

গ্রামবাসীর প্রত্যশা আজ যেন পরিতোষ বাবু, সঞ্চিত বাবুদের হাত ধরে পূর্ণ হতে চলেছে বহু বছরের প্রতিক্ষিত আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন। এই খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়তেই ৭৭ নম্বর পার্টের একাংশে রীতিমত শুরু হয়েছে উৎসবের আমেজ।

(স্বস্তির রেজুলেশন)

তবে দীর্ঘদিনের অসংখ্য অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ পোড়-খাওয়া প্রবীণ মহলের আশঙ্কাজনক মন্তব্য,“কাগজে-কলমে, রেজুলেশনে নাম ওঠাই শেষ কথা নয়, আসলে কাজের বাস্তব প্রয়োগ চোখে না দেখা পর্যন্ত ভরসা জাগছে না তাঁদের মনে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *