রুট পারমিট সংক্রান্ত ব্যাপারকে কেন্দ্র করে টোটো ইউনিয়নের দু’গ্রুপের দ্বন্দো মেটাতে এগিয়ে এল থানা
পারফেক্ট টাইম ওয়েব ডেস্ক : শ্রমিক সংগঠন I.N.T.T.U.C এর বাগদার পূর্ব ব্লক এলাকায় রুট পারমিট সংক্রান্ত ব্যাপারকে কেন্দ্র করে অটো ইউনিয়নের নেতা শ্যামল অধিকারীর পরামর্শে টোটো ইউনিয়নের নেতৃত্বে থাকা সমীর বিশ্বাস আজ বিকালে ১২ খানা টোটো চালকসহ আটকিয়ে থানায় সোপর্দ করে। আজ সন্ধ্যার দিকে বাগদা থানার পুলিশ ঘটনার মীমাংসার জন্য টোটো গুলোকে প্রাথমিক ভাবে থানায় নিয়ে যায়।
বাগদা টোটো ইউনিয়ন নেতৃত্ব সমীর বিশ্বাস বলেন, তারা বেশ কিছুদিন যাবৎ অটোরিকশা ইউনিয়নের নেত্রবৃন্দের সাথে আলোচনা সাপেক্ষেই নির্ধারিত রুট গুলিতেই সুশৃঙ্খল ভাবে এতদিন টোটো চালিয়ে রুটিরুজির সংস্থান করে আসছিল কিন্তু হঠাৎ করেই কিছু ভুঁইফোঁড় টোটো ইউনিয়নের সকল নিয়মনীতির প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে ইচ্ছানুযায়ী যেকোনো রুটে ঢুকে অশান্তির বাতাবরন তেরী করছে। সে কারনে এই সমস্যা সমাধানের জন্য আজ তাদের ইউনিয়নের হস্তক্ষেপে ১২ট টোটো আটকে রাখা হয়েছিল যা পরে বাগদা থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বাগদা পূর্ব ব্লক অটো ইউনিয়নের সভাপতি শ্যামল অধিকারী বলেন, বাগদার বিভিন্ন রুটে ১৪০খানা অটো এবং অপর একটি ইউনিয়নের ৪০\৫০খানা অটো মিলিয়ে মোট প্রায় ২০০খানা অটো নিয়মিত চলাচল করছে। তার পরেও প্রায় শ’খানেক টোটো তাদের সাথে আলোচনা করেই এসকল রুটে চলাচল করছে। এতগুলো ইউনিয়নভুক্ত অটোরিকশা ও টোটো চালকরা রীতিমতো মানবেতর জীবনযাপন করছে। তার উপর বেশকিছু ইউনিয়ন বহির্ভূত টোটো গায়ের জোরে ইচ্ছা মত যেকোন সময় যেকোন রুটে ঢুকে পড়েছে। এই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যেই ইউনিয়নের পক্ষ থেকে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছিল। শ্যামল বাবু আরও বলেন, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এসকল টোটো চালকরা I.N.T.T.U.C এর লোগো সংগ্রহ করে তা টোটোতে লাগিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে।
এব্যপারে শ্রমিক সংগঠন I.N.T.T.U.C এর বাগদার পূর্ব ব্লক সভাপতি গনেষ ঘোষ বলেন, গায়ের জোরে কোন ইউনিয়ন বহির্ভূত অটোরিকশা ও টোটো I.N.T.T.U.C এর নির্ধারিত রুটে চলাচল করতে পারবে না। এটা জেলা ইউনিয়নের সিদ্ধান্ত আমরা কেউ তার বাইরে নয়। এসকল রুটে যদি নতুন করে গাড়ির প্রয়োজন হয় সেটাও ইউনিয়নের নীতিমালা অনুযায়ীই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। এধরনের কিছু ইউনিয়ন বহির্ভূত টোটো নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছিল তা বাগদা থানার মধ্যস্থতায় মিটিয়ে ফেলা হবে।
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায়ের কাছে এব্যপারে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, তিনি সবই জানেন, নিজের দলের মধ্যের ব্যাপারে, সমস্যা সব মিটে গেছে, কম্বলের তুলো বাছলে তো আর কম্বলই থাকে না। তিনি থানার বড় বাবু ও ইউনিয়নের উধ্বর্তন নেতৃত্বের সাথে কথা বলে সমস্যার সমাধান করে দিয়েছেন।