আপোসহীন অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, আপনার এলাকার টাটকা সংবাদ পরিবেশনে সর্বদা দায়বদ্ধ।

অনুষ্ঠানউৎসবখেলাজেলার খবরপ্রতিভার সন্ধানেস্বাস্থ্য

গোপালনগর হরিপদ ইনিস্টিটিউশনের শতবর্ষে যোগাসন প্রতিযোগিতা ও নানা অনুষ্ঠান

নীরেশ ভৌমিক :- অমর কথাসাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মৃতি বিজড়িত গোপালনগর হরিপদ ইনস্টিটিউশনের শতবর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা বিদ্যালয় ক্রীড়া সংসদের পরিচালনায় গোপালনগর হরিপদ ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত হলো ৬৯ তম জেলা বিদ্যালয় যোগাসন প্রতিযোগিতা।

অনূর্ধ্ব ১৪, ১৭ ও ১৯ বছরের বালক ও বালিকা উভয় বিভাগের ছটি বিভাগে দলগত যোগা, ছন্দময় যোগা ও আটিস্টিক যোগাসন প্রতিযোগিতায় সারা জেলার ১০০টি বিদ্যালয়ের ১৬০ জন প্রতিযোগী ও প্রতিযোগিনীরা অংশগ্রহণ করে। এই প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকারী প্রতিযোগী ও প্রতিযোগিনীরা ৬৯ তম রাজ্য যোগাসন প্রতিযোগিতায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলা বিদ্যালয় সমূহের প্রতিনিধিত্ব করবে।

লেফটেন্যাল কর্নেল অনিন্দ্য মন্ডল উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা বিদ্যালয় ক্রীড়া সংসদের ৬৯ তম যোগাসন প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। ভারতবর্ষের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন লেফটেন্যাল কর্নেল অনিন্দ্য মন্ডল। জেলা বিদ্যালয় ক্রীড়া সংসদের পতাকা উত্তোলন করেন এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মানস পাল এবং গোপালনগর হরিপদ ইনস্টিটিউশনের পতাকা উত্তোলন করেন ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক সমরেশ চন্দ্র মন্ডল।

উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ ঘোষ চৌধুরী ও দীপক রায়। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নাচ ও যোগা নৃত্ত পরিবেশিত হয়। উদ্বোধক তার ভাষণে বলেন যে শিক্ষার্থী ও যুব সমাজের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যোগ চর্চার ভূমিকা অনস্বীকার্য।

মানস পাল তার ভাষনে বলেন যে শিক্ষা মন্ত্রী সম্মানীয় ব্রাত্য বসু জেলার প্রতিটি খেলাধুলার প্রসার ঘটাতে চান, তাই তার নির্দেশেই এই একশ বছরের ঐতিহ্যমন্ডিত গোপালনগর হরিপদ ইনষ্টেশনে আমরা প্রতিযোগিতার আয়োজন করবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সার্বিক সহযোগিতা আমাদেরকে মুগ্ধ করেছে।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে বিদ্যালয় বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য দীপেন বসু জানান যে সারা রাজ্যে চালু হওয়ার মাঝখানে স্কুল গেমস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া যোগাসন প্রতিযোগিতার নিয়মাবলির পরিবর্তন করবার ফলে অনেক খেলোয়ার বঞ্চিত হবে জাতীয় স্তরে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে। জাতীয় স্তরের যোগাসনে বাংলা যেহেতু ধারাবাহিক সাফল্য পাচ্ছে এটা আমাদের সকলের গর্বের। প্রত্যেক বিভাগের সফল প্রতিযোগিনী ও প্রতিযোগীদের জন্য পুরস্কারের আয়োজন করা হয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে।

পুরস্কার বিতরণ সভায় গোপালনগর হরিপদ ইনস্টিটিউশনের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক সমরেশ চন্দ্র মন্ডল জানালেন যে, যোগাসন প্রতিযোগিতার প্রতিযোগী ও প্রতিযোগিনীদের দক্ষতা আমাদেরকে মুগ্ধ করেছে। আমাদের এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করবার সুযোগ দেয়ার জন্য বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর ও জেলা বিদ্যালয় ক্রীড়া সংসদ কে ধন্যবাদ জানায়।আমরা আগামীতে আমাদের শতবর্ষ আয়োজনের অংশ হিসাবে যদি কোন রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতার আয়োজনে সুযোগ পায় তাহলে আমরা ধন্য হব।

জেলা সংসদের সম্পাদিকা অনিমা মন্ডল প্রতিযোগী, অভিভাবক, বিচারক, সংগঠক, ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অলোক ঘোষ, জেসমিনা খাতুন, সুব্রত বক্সি, মনোজ ঘোষ, প্রশান্ত পাল, প্রভাস মজুমদার, ষষ্ঠী মন্ডল প্রমূখ। খেলোয়ার বঞ্চিত হবে জাতীয় স্তরে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে। জাতীয় প্রত্যেক সফল প্রতিযোগীর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় সংস্থার পক্ষ থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *