হেলেঞ্চা বিআরআম্বেদকর শত বার্ষিকী মহাবিদ্যলয়ে অনুষ্ঠিত হল প্রদর্শনী ‘পড়তে পড়তে রোজগার’
পারফেক্ট টাইম ওয়েব ডেস্ক : আজ হেলেঞ্চার স্বনামধন্য বি.আর.আম্বেদকর শতবার্ষিকী মহাবিদ্যলয়ের অধ্যক্ষ ড. চিত্তরঞ্জন দাসের অনুপ্রেরনায় প্রদর্শনী উদযাপন কমিটি ও ষ্টুডেন্ট ওয়েল ফেয়ার কমিটির যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল “পড়তে পড়তে রোজগার ” শীর্ষক এক অনবদ্য মেলা তথা প্রদর্শনী।
প্রদর্শনীটির শুভ উদ্বোধন করেন, মহাবিদ্যলয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি তরুন ঘোষ। ওই সময়ে প্রদর্শনীটিতে বিশিষ্ঠ ব্যাক্তিবর্গের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মহাবিদ্যলয় পরিচালনা কমিটির প্রাক্তন সভাপতি নকুল হীরা, কলেজটির প্রিন্সিপাল, ভাইস প্রিন্সিপাল, অধ্যক্ষ অধ্যক্ষা, সাংবদিক উত্তম কুমার সাহা, ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষা কর্মীরা।
উল্লেখ্য, সর্ব্বজন প্রশংসিত এবং উদ্দেশ্য সফল মেলা তথা প্রদর্শনীটি যার অনুপ্রেরনা ও মস্তিস্ক প্রসূত তিনি কলেজের উন্নয়নাকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্র, সর্ব্বজন শ্রদ্ধেয় প্রিন্সিপাল ড. চিত্তরঞ্জন দাস। এ ছাড়াও মেলা উদযাপন কমিটির অন্যতম দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত এবং প্রদর্শনীটি যাদের ঐকান্তিক সহযোগীতায় সফলতার ছোঁয়া পেয়েছে তারা হলেন, কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল ড. রূপলীনা ব্যানার্জী ও প্রফেসর কৌশিক সাউ।
তাঁরা তাঁদের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ কালে বলেন, “পড়তে পড়তে রোজগার ” শীর্ষক সফল প্রদর্শনীটি কলেজের সর্ব্বজন শ্রদ্ধেয় প্রিন্সিপাল ড. চিত্তরঞ্জন দাস মহাশয়ের মস্তিস্ক প্রসূত। প্রদর্শনীটিতে অভাবনীয় ও অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছেন তাঁরা, প্রদর্শনী শুরুর এক ঘন্টার মধ্যে অধিকাংশ ষ্টলেই বেচাকেনা শেষ। সুশৃঙ্খল পরিবেশে সম্পন্ন হওয়া প্রদর্শনীটি পরিনত হয়েছিল ছাত্র ছাত্রী, শিক্ষকদের এক মিলন মেলায়।
কলেজের প্রিন্সিপাল ড. চিত্তরঞ্জন দাস বলেন, এই প্রথম বার কলেজ প্রাঙ্গনে “পড়তে পড়তে রোজগার ” শীর্ষক মেলা তথা প্রদর্শনীটিতে অসামান্য সাড়া পেয়েছি। কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা হলো প্রান। পড়াশুনার পাশপাশি তাদের নিজেদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা অসংখ্য সুপ্ত প্রতিভাকে প্রকাশ করার সুযোগ পেয়ে তারাও বেজায় খুশি। তাদের খুশিতে খুশি গোটা বি.আর.আম্বেদকর শতবার্ষিকী মহাবিদ্যলয়।
সেই সাথে তারা কিঞ্চিৎ ভাবে হলেও সাবলম্বী হয়েছে অর্থনৈতিক ভাবে। কলেজ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত “পড়তে পড়তে রোজগার ” শীর্ষক অনবদ্য প্রদর্শনীটিতে ছাত্র ছাত্রীরা তাদের পড়াশুনার পাশপাশি তাদের নিজেদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা অসংখ্য সুপ্ত প্রতিভাকে প্রকাশ করার সুযোগ পেয়েছে, সেই সাথে কিঞ্চিৎ সাবলম্বী হয়েছে অর্থনৈতিক ভাবে। সব মিলিয়ে অত্যন্ত সফল এই মেলা তথা প্রদর্শনীটি।
তাই এই প্রদর্শনীটিতে ভাল কাজের জন্য অংশ গ্রহনকারী ১৯টি ষ্টলের মধ্যে সার্বিক বিচারে ৩টি ষ্টলের প্রতিনিধিদেরকে ১ম, ২য়, ৩য় হিসাবে বিজয়ী ঘোষনা করে মেমেন্টো প্রদানের মাধ্যমে সন্মানিত ও উৎসায়িত করা হবে বলেও জানান, কলেজের অধ্যক্ষ ড. চিত্তরঞ্জন দাস। মহাবিদ্যালয়ের বর্তমান পাঠরত ছাত্র ছাত্রীরা তাদের নিজেদের দক্ষতায় তৈরি বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য সামগ্রী, নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যাবহারিক জিনিসপত্র, ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে ঘর সাজানোর জিনিসপত্র,পরিবেশ বান্ধব বিভিন্ন প্রকার গাছও প্রদর্শিত হয় এখানে।
লেখা পড়ার ফাঁকে সেগুলো খুবই কম দামে কলেজেরই ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে বিক্রী করেও যে কিঞ্চিত আয় করা যায় তা প্রমানিত হয়েছে। সর্ব মহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে প্রিন্সিপাল মহাদয়ের মস্তিস্ক প্রসূত এই উদ্যোগটি। সেই সাথে দাবি উঠেছে, পড়াশোনার পাশাপাশি ভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে আরও বড় মাপের মেলা তথা প্রদর্শনী বছরে আরও দু’একবার হোক কলেজ প্রাঙ্গনে।