সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত খাটুরা পড়শীর নাট্যোৎসব
নীরেশ ভৌমিক : গত ২৫ ও ২৬ নভেম্বর গোবরডাঙ্গা পৌর টাউন হলে অনুষ্ঠিত হয় পড়শী খাঁটুরার তৃতীয় বর্ষপূর্তি নাট্য উৎসব। ২৫ শে সন্ধ্যায় মঙ্গলদীপ প্রোজ্বলন করে আয়োজিত নাট্যোৎসবের সূচনা করেন গোবরডাঙ্গার পৌর প্রধান শংকর দত্ত।
ছিলেন বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব দেবেশ রায় চৌধুরী এবং আকাশবাণীর নাট্য বিভাগের রফিউদ্দিন। পড়শীর কর্ণধার সৌমেন ভট্টাচার্য আমন্ত্রিত অতিথিদের স্মারক উপহারে বরণ করে নেন। দেবেশ বাবু তার বক্তব্যে নাটকের চর্চা ও প্রসারে নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আনার আহ্বান জানা
তবে এদিনের নাট্যোৎসবে দর্শকের অপ্রতুলতায় তিনি হতাশা ব্যক্ত করেন। দু’দিনের আয়োজিত নাট্যোৎসবে মোট ৬ খানি নাটক মঞ্চস্থ হয়। শুরুতেই হালিশহর অ-আ-ক-খ নাট্য সংস্থা পরিবেশিত মঞ্চ সফল নাটক ‘বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা’ প্রশংসার দাবি রাখে।
এদিনের দ্বিতীয় নাটক আয়োজক সংস্থা পড়শীর প্রাণপুরুষ সৌমেন ভট্টাচার্যের একক অভিনয়ে সমৃদ্ধ সকলের ভালোলাগার নাটক ‘এক রুদ্র সকালে’ সমবেত দর্শক মন্ডলীকে মুগ্ধ করে। এদিনের শেষ নাটক গোবরডাঙ্গার বাবু পাড়া আত্মজ নিবেদিত ‘দেবী’ দর্শকদের প্রশংসা লাভ করে।
দ্বিতীয় দিনের প্রথম নাটক দৃক নাট্যগোষ্ঠীর মঞ্চ সফল নাটক মনোজ মিত্রের পাখী অবলম্বনে ‘ঠিকানা’ এবং খাটুরা পড়শীর নতুন নাটক ‘অথ: শ্রী হত কথা’ সমবেত দর্শক সাধারনকে মুগ্ধ করে। সবশেষে পরিবেশিত হয় ঠাকুরনগর অনুরঞ্জন পরিবেশিত সকলের ভালোলাগার নাটক সেই ‘জোকার এই সার্কাস।