ঠাকুরনগরে কবি বিনয় মজুমদারের প্রয়াণ দিবসে সাহিত্য সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

নীরেশ ভৌমিক : গত ১১ ডিসেম্বর ছিল কবি বিনয় মজুমদারের ১৮ তম প্রয়াণ দিবস। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে দু’দিন ব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কবি বিনয় মজুমদার স্মৃতি রক্ষা কমিটি ও কবি বিনয় মজুমদার সাধারণ গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ।

এদিন সকালে কবির বাসভবন প্রাঙ্গণের শেষকৃত্য স্থলের স্মৃতি বেদী স্থলে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে আয়োজিত নানা অনুষ্ঠানের সূচনা করেন বিশিষ্ট কবি বিভাস রায় চৌধুরী, উপস্থিত ছিলেন গ্রন্থাগার পরিচালন কমিটির সভাপতি ও কবির অনুরাগী শিক্ষক গোবিন্দ ঘটক।

গ্রন্থাগারের সম্পাদক বৈদ্যনাথ দলপতি, শিক্ষক অনুপম দে, অধ্যাপক সুবীর সেন, কবি বিনয় মজুমদার স্মৃতি রক্ষা কমিটির সম্পাদক শিবেন মজুমদার, অন্যতম সংগঠক শিক্ষক দীপক মিত্র ও বিশিষ্ট কবি দীপক বালা প্রমুখ কবির অনুরাগী’গণ।

সকলেই কবির শেষকৃত্য স্থলে ফুল-মালা অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। স্বাগত ভাষণে সভাপতি গোবিন্দঘটক সমবেত সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানের সাফল্য কামনা করেন। কলকাতা সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কবি ও সাহিত্যিক’গণ কবি বিনয় এর স্মরণে আয়োজিত এদিনের সাহিত্য সংস্কৃতি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

এদিন প্রখ্যাত নাট্যকার সুদীপ সিংহকে শুকচাঁদ সরকার পুরস্কার এবং ওপার বাংলার বিশিষ্ট কবি সেজুতি বড়ুয়াকে একুশ সাহিত্য সম্মান এবং স্বনামধন্য লেখক অধ্যাপক ডঃ বাসুদেব মন্ডলকে বিনয় মেধা সম্মানে ভূষিত করা হয়। এদিনের মঞ্চ থেকে ‘চাকা সাহিত্য পত্রিকার ও আমার গান পুস্তকের’ আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন যথাক্রমে সেজুতি বড়ুয়া ও প্রবীণ সাংবাদিক বিপ্রতীপ দে।

উপস্থিত কবিগন স্বরচিত কবিতা পাঠ করে কবির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। কবি বিনয় মজুমদারকে উদ্দেশ্য করে কবি বরুন হালদারের লেখা কবিতা পাঠ করে শোনান, কবি ঝর্ণা ঘোষ। কবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গান গেয়ে শোনান, বিশিষ্ট কবি কেয়া দেবনাথ।

কবির জীবন এবং বিভিন্ন রচনা ও কবির প্রতিভার উপর আলোকপাত করে বক্তব্য রাখেন কবি বিভাস রায় চৌধুরী, অধ্যাপক সুবীর সেন ও ডঃ বাসুদেব মন্ডল। অনুষ্ঠান প্রাঙ্গনে কবির বিভিন্ন কবিতার উপর লেখা চিত্র প্রদর্শনী সমবেত মানুষজনের নজর কাড়ে।অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে

আগের দিন অনুষ্ঠিত বসে আঁকো প্রতিযোগিতায় সফল প্রতিযোগী’গনের হাতে আকর্ষণীয় পুরস্কার তুলে দিয়ে শুভেচ্ছা জানান উদ্যোক্তারা। সন্ধ্যায় পরিবেশিত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বহু মানুষের সমাগম ঘটে। নানা অনুষ্ঠান ও বহু সাহিত্য-সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষজনের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে এদিনের সমগ্র অনুষ্ঠান সার্থকতা লাভ করে।










