আপোসহীন অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, আপনার এলাকার টাটকা সংবাদ পরিবেশনে সর্বদা দায়বদ্ধ।

রাজ্য

বাংলা ভাষায় কথা বলার কারনে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে সন্দেহে মহারাষ্ট্রের পুলিশ বাংলাদেশে পাঠাল ভারতীয় দম্পতিরকে

পারফেক্ট টাইম ওয়েব ডেস্ক : পেটের দায়ে মহারাষ্ট্রে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে গিয়ে বিপাকে পড়ে বাগদা থানার রনঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিহরপুর এলাকার ফজের-তাছলিমা দম্পতি। বাংলা ভাষায় কথা বলার কারনে মহারাষ্ট্রের নয়াগঞ্জ থানার পুলিশের সন্দেহ হয় ওরা বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী। ভারতীয় নাগরিকত্বের একাধিক প্রমান দম্পতি দেখালেও বিশ্বাস হয়নি নয়াগঞ্জ পুলিশের।

কাগজপত্র জাল ভেবে তাদেরকে ইচ্ছার বিরুদ্ধেই গত ১০ই জুন বাংলাদেশে পাঠায় মহারাষ্ট্র পুলিশ। তারপরেই ছেলে বৌমার সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বাবা হরিহরপুরের তাহাজুর মন্ডলের। পরিবারের মাথায় যেন বিনা মেঘে বর্জ্জপাত হয়। দিক-বিদিক জ্ঞান শুন্য হয়ে এর প্রতিকারের উপায় খুঁজতে স্থানীয় প্রশাসন ও জন প্রতিনিধিদের দ্বারস্থ হন তাহাজুর মন্ডল।

এমনি অবস্থার এক পর্যায়ে বাংলাদেশের দিনাজপুর থেকে বর্ডার গার্ড বিজিবির ফোন আসে বাগদার এই পরিবারের কাছে। জানানো হয়, কিছু বাংলাদেশিদের সাথে ওই দম্পতিকেও পুশব্যাক করা হয়েছে বাংলাদেশে। অমানিসার অন্ধকারের মধ্যেও যেন আশার আলো দেখেন বাবা তাহাজুল মন্ডল ও মা লতিফা মণ্ডল। খবর পেয়ে যথোপযুক্ত কাগজপত্রের ভিত্তিতে শুরু হয়ে যায় শাসক দলের নেতৃত্বের আইনী কার্যক্রম।

অবশেষে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বিএসএফের পুশব্যাক করা ভারতীয় দম্পতি ফজের মন্ডল (২১) ও তার স্ত্রী তাছলিমা মন্ডল (১৯) কে গত ১৬ই জুন সোমবার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এর  ৮৭ ব্যাটালিয়নের সঙ্গে সীমান্ত পিলার ৩৪৯/৫-এস এলাকায় পতাকা বৈঠকের আয়োজন করে বিজিবি এবং ভারতীয় দম্পতিকে হস্তান্তর করে বিএসএফের হাতে। জানা গেছে, বিএসএফ কর্তৃক পুশব্যাক করা ২১ জন বাংলাদেশি নাগরিকের সাথে ভারতীয় দম্পতি ফজের ও তাছলিমাও এ’কদিন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের হাতে বন্দি ছিলেন। মহারাষ্ট্রের নয়ানগর থানা এলাকায় পুলিশ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় ভাষাগত সমস্যা দম্পতির এই বিপদ ঘটায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *