কলকাতার শ্রীশ্রীনগেন্দ্র মঠে অনুষ্ঠিত দু’দিন ব্যাপী জন্মাষ্টমী উৎসব ভাসলো একরাশ শ্রদ্ধা আর ভক্তিতে ভরা আধ্যাত্মিক আবেশে

পারফেক্ট টাইম ওয়েব ডেস্ক :- ফুলে, চন্দনে, ধূপে-মন্ত্রোচ্চারণে ভাস্বর হয়ে উঠল কলকাতার শ্রীশ্রীনগেন্দ্র মঠ। সনাতন ধর্মপ্রচারিণী সভা, শ্রীশ্রীনগেন্দ্র মঠ এবং নগেন্দ্র মিশনের যৌথ উদ্যোগে পবিত্র জন্মাষ্টমী উৎসব পালিত হলো প্রচলিত রীতি মেনে, ভক্তি ও শ্রদ্ধার আবহে, টানা দুদিন ধরে। ১৬ই অগাস্ট সকালে মহর্ষি নগেন্দ্রনাথের শেষ জীবনের সাধনভূমি এই মঠে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ পূজা। মূল মন্দিরে ভক্তরা একসঙ্গে পূজার্চনা করেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং ভক্তহৃদয়ে বহিরঙ্গে শিব, অন্তরঙ্গে বিষ্ণু রূপে বিরাজমান মহর্ষি নগেন্দ্রনাথকে। নিয়ম মাফিক সম্পন্ন হয় বিশেষ হোম। পূজার পর মধ্যাহ্নে ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। প্রথম দিনের ভক্তিমূলক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন শম্ভু কুণ্ডুসহ মঠের আবাসিক ছাত্র এবং ভক্তরা।

সান্ধ্য অনুষ্ঠানে মহর্ষি নগেন্দ্রনাথের রচিত ও সুরারোপিত পরমার্থ সংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট শিল্পী শ্যামলী ভট্টাচার্য। দ্বিতীয় দিনও সকাল থেকে মন্দির প্রাঙ্গণে ভক্তদের ঢল নামে। ছিল পূজা-অর্চনা, আরতি ও ধর্মীয় আলোচনা। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ ভক্তিমূলক অনুষ্ঠান, যা উপস্থিত সকলকে আবেগমথিত করে তোলে। এই দু’দিন ব্যাপী উৎসব সফলভাবে পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন নগেন্দ্র মিশনের সভাপতি গৌরহরি শাসমল ও কোষাধ্যক্ষ সঞ্জয় ভট্টাচার্য। সহযোগিতায় ছিলেন, শ্রীশ্রীনগেন্দ্র মঠের কোষাধ্যক্ষ দেবাশিস বোস।শ্রীশ্রীনগেন্দ্র মঠের সম্পাদক ড. রবীন্দ্রনাথ কর জানান, “মহর্ষিদেবের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে, মঠের প্রচলিত রীতি মেনে প্রতিবছরই নিষ্ঠা ও ভক্তির সঙ্গে জন্মাষ্টমী উদযাপন করা হয়।”মহর্ষির পরিবারের তরফে তাঁর প্রপৌত্রীর পুত্র ড. শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মহর্ষি নগেন্দ্রনাথ এবং ধ্যানপ্রকাশ ব্রহ্মচারীর নির্দেশিত রীতি অনুসরণ করেই আমাদের মঠে প্রতিবছর জন্মাষ্টমী পালিত হয়। এ বছরও সেই পরম্পরা অটুট রেখেই দু’দিন ব্যাপী উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।” ভক্তদের অংশগ্রহণে, আচার-অনুষ্ঠানের শুদ্ধতা ও সাংগীতিক ভক্তিধারায় ভাস্বর হয়ে উঠেছিল সমগ্র শ্রীশ্রীনগেন্দ্র মঠ, যেন ভক্তির সমুদ্রে মিলে মিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল জন্মাষ্টমীর এই মহোৎসব।








