আপোসহীন অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, আপনার এলাকার টাটকা সংবাদ পরিবেশনে সর্বদা দায়বদ্ধ।

ধর্মীয় খবর।পাঠকের কথারাজ্যসাহিত্য ও সংস্কৃতি।

শ্রীশ্রী নগেন্দ্র মঠ এবং নগেন্দ্র মিশনের গ্রন্থ: ‘নিত্য প্রার্থনা’

পারফেক্ট টাইম ওয়েব ডেস্ক : শ্রীশ্রী নগেন্দ্র মঠ এবং নগেন্দ্র মিশনের গ্রন্থ: ‘নিত্য প্রার্থনা’ এই পুস্তিকার প্রকাশ ভাদুড়ী মহাশয় অর্থাৎ পরমহংস মহর্ষি নগেন্দ্রনাথের পুণ্যস্মৃতি বিজড়িত সনাতন ধর্ম প্রচারিণী সভা ও শ্রীশ্রীনগেন্দ্র মঠ এবং নগেন্দ্র মিশনের পক্ষ থেকে। প্রতিদিনের প্রার্থনার উপযোগী স্তোত্র, মন্ত্র, বন্দনার নির্বাচিত প্রকাশে সমৃদ্ধ এই পুস্তিকা। আশ্রমের সদ্যপ্রয়াত আচার্য ড. রঘুপতি মুখোপাধ্যায়ের এ এক অনন্য উদ্ধার।

ড. শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়

এর মূলে আছে সেই পরম বিষয় – “ওঁ অমৃতস্বরূপা চ” – সত্যিই তো ভক্তি কেবল প্রেম-স্বরূপ নয়, অমৃত-স্বরূপও। এই ভক্তিকেই অবলম্বন করে যাঁরা তৃপ্তি পেতে চান – তাঁদের জন্য এই ‘নিত্য প্রার্থনা’। শ্রীশ্রীনগেন্দ্র মঠের সদ্যপ্রয়াত আচার্য ড. রঘুপতি মুখোপাধ্যায় এই পুস্তিকায় সংকলন এবং সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পুস্তিকাটি প্রকাশক ড. রবীন্দ্রনাথ কর। এই পুস্তিকার প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয় ২০১৪-তে। চতুর্থ সংস্করণ প্রকাশিত হয় ২০২২- এ।

পরমহংস মহর্ষি নগেন্দ্রনাথ – যিনি “The Levitating Saint” হিসেবে সারা পৃথিবীতে শ্রদ্ধেয় – তাঁর এবং তাঁর মানসপুত্র, যোগ – ভক্তি মার্গের সিদ্ধ সাধক ধ্যানপ্রকাশ ব্রহ্মচারীর যে আদর্শকে সামনে রেখে যোগ – ভক্তি মার্গের প্রচার এবং প্রসারে আত্মনিয়োগ করেছিলেন ধ্যানপ্রকাশ ব্রহ্মচারীর ত্যাগী শিষ্য, শ্রীশ্রীনগেন্দ্র মঠের দ্বিতীয় মহান্ত ভক্তিপ্রকাশ ব্রহ্মচারী – সেই আদর্শকেই বহন করেছিলেন ড. রঘুপতি মুখোপাধ্যায়, তাঁর সমৃদ্ধ অধ্যাপনা জীবনের পরবর্তী পর্যায়ের অবসর যাপনে। এ পুস্তিকা তারই ফসল।

শ্রীশ্রীনগেন্দ্র মঠে যে নিত্য প্রার্থনার রীতি প্রচলিত – সেই রীতিকে সামনে রেখেই তিনি এখানে সংকলন করেন শ্রীগুরুস্তোত্রম্, শ্রীগীতা (একাদশ অধ্যায়), ব্রহ্ম- স্তোত্রম্, শ্রীমদ্ যোগি- নগেন্দ্র স্তোত্রম্, শ্রীশ্রীকৃষ্ণাষ্টক স্তোত্রম্। সঙ্গে শ্রীবিষ্ণুর, শ্রীনারায়ণের, শ্রীকৃষ্ণের, দেবী দুর্গার, মা কালীর, দেবী সরস্বতীর, পরম পুরুষের অর্থাৎ পরমহংস মহর্ষি নগেন্দ্রনাথের শ্রীহরির, মহালক্ষ্মীর, গঙ্গার, ভগবান গণেশের, সূর্যের প্রণাম মন্ত্র। এছাড়াও এখানে রয়েছে পরমহংস মহর্ষি নগেন্দ্রনাথের, মহর্ষিদেবের মানসপুত্র শ্রীমৎ ধ্যানপ্রকাশ ব্রহ্মচারীর এবং ভক্তিপ্রকাশ ব্রহ্মচারী ব্রহ্মচারীর প্রণাম মন্ত্র। সংযোজিত হয়েছে কল্যাণ প্রার্থনা, শান্তি মন্ত্র, জয়ধ্বনি, গুরু বন্দনা এবং মহর্ষি নগেন্দ্রনাথ বিরচিত প্রার্থনাও। প্রত্যেকটি প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে রয়েছে বোঝার সুবিধার জন্য বঙ্গানুবাদ।

৩৪ পৃষ্ঠার এই পুস্তিকার সূচনায় আছে পরমহংস যোগানন্দ যাঁকে শ্রদ্ধাবনত চিত্তে অভিহিত করেছিলেন “ভাদুড়ী মহাশয়” হিসেবে – সেই পরমহংস মহর্ষি নগেন্দ্রনাথের কথা। এখানে ‘নিবেদন’ অংশে পুস্তিকাটির সংকলক ও সম্পাদক উল্লেখ করেছেন ঠাকুর শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের সঙ্গে পরমহংস নগেন্দ্রনাথের দিব্য মিলনের প্রসঙ্গ এবং পরমহংস নগেন্দ্রনাথের বিভিন্ন ক্রিয়া কাণ্ডের কথা। এরপর শ্রীগুরুস্তোত্রম্ দিয়ে শুরু হয়েছে মূল পর্ব।

বাস্তবে, প্রার্থনা হচ্ছে সেই পথ – যার শেষে পৌঁছালে শুধু রাখা যায় :”অপরাধসহস্রসঙ্কুলে পতিতং ভীমভবার্ণবোদরে অগতিং শরণাগতং হরে কৃপয়া কেবলমাত্মসাৎ করু ।।

(— হে হরি! সহস্র অপরাধে পূর্ণ ভয়ানক সংসারসাগরে পতিত গতিহীন শরণাগতকে কেবল কৃপা করে নিজের করে নাও ।)— তাই সকলের জন্যই সনাতনধর্ম প্রচারিণী সভা ও শ্রীশ্রীনগেন্দ্র মঠ ও মিশন ( রামমোহন রায় রোড, কলকাতা – ৯ ) থেকে প্রকাশিত কুড়ি টাকা বিনিময় মূল্যের এই পুস্তিকাটি সংগ্রহে রাখার মতো।

পুস্তিকা সৌজন্যে : শ্রীশ্রীনগেন্দ্র মঠ এবং নগেন্দ্র মিশন, কলকাতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *