প্রান্তিক নাট্য তীর্থের উদ্যোগে গোবরডাঙার নাট্যাভিনেত্রী দীপা স্মরন অনুষ্ঠান
নীরেশ ভৌমিক: গোবরডাঙার অদূরে স্বরূপনগর করুণাময়ী মিশন পরিচালিত প্রান্তিক নাট্য তীর্থের উদ্যোগে স্বনামখ্যাতা নাট্যাভিনেত্রী ও গোবরডাঙা শিল্পায়ন নাট্য বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষা সদ্যপ্রয়াতা দীপা ব্রহ্মের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হল গত ১৩ আগষ্ট স্থানীয় রেনেসাঁস অঙ্গনের ডঃ সুনীল বিশ্বাস নামাঙ্কিত মঞ্চে।
এদিন সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত দীপা স্মরণ অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বর্ষিয়ান নাট্যব্যক্তিত্ব শ্যামল দত্ত, উৎপল ফৌজদার, আশিস চ্যাটার্জী, কুশল বসু, বিশিষ্ট শিক্ষাব্রতী ডঃ সুনীল বিশ্বাস, দীপক কুমার দাঁ, সুখেন্দু দাস, ও জেলা তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের অন্যতম আধিকারিক প্রসেনজিৎ কুমার মণ্ডল ও বিশিষ্ট সমাজকর্মী গোবিন্দলাল মজুমদার প্রমুখ।
বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী নমিতা বিশ্বাসের গাওয়া মর্মস্পর্শী সংগীতের মধ্য দিয়ে দীপা স্মরন অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। স্বাগত ভাষণে করুনাময়ী মিশনের প্রানপুরুষ নাট্যামোদী ও সংস্কৃতিপ্রেমী অনিমেশ বসাক সদ্য প্রয়াতা মঞ্চাভিনেত্রী দীপা ব্রহ্মের বিভিন্ন গুণের কথা তুলে ধরেন। শোকবার্তা পাঠ করেন নাট্যকর্মী শিঞ্জিনী চক্রবর্তী।
শিল্পায়ন নাট্যদলের পরিচালক আশিস চ্যাটার্জী বলেন, রেনেসাঁস বিজ্ঞান সংস্থার সাথে দীপাদের পারিবারিক সম্পর্ক ছিল বহুদিনের। আর শিল্পায়ন ছিল তাঁর পরিবার। তথ্য-সংস্কৃতি আধিকারিক প্রসেনজিৎবাবু তাঁর বক্তব্যে বহু গুনের অধিকারিনী দীপাদেবীর স্মরণে এই সভার আয়োজনের জন্য প্রান্তিক নাট্যতীর্থ ও তাঁর কর্ণধার অনিমেশ বাবুর উদ্যোগকে স্বাগত জানান। নাট্যগুরু শ্যামল দত্ত বলেন, দীপা গোবরডাঙ্গা নাট্য আন্দোলনের একজন পুরোধা।
দীপা না থাকলে এখানে শিল্পায়ন নাট্য বিদ্যালয় গড়ে উঠতো না। স্মরণ সভা উপলক্ষে আয়োজিত মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানে মানিক চক্রবর্তী ও সুব্রত নট্টের সঙ্গীত ও বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী সাধনা মজুমদারের কন্ঠের আবৃত্তি উপস্থিত সকলের প্রশংসা লাভ করে। সবশেষে কলকাতা দূরদর্শন প্রযোজিত দীপা ব্রহ্ম অভিনীত লালন ফকিরের উপর প্রস্তুত পড়শী তথ্যচিত্রটি প্রদর্শিত হয়। তথ্যচিত্রে দীপার সুললিত কন্ঠের গানগুলি সমবেত দর্শক ও শ্রোতৃ মন্ডলীকে মুগ্ধ করে।