দত্তপুকুর দৃষ্টি নাট্য সংস্থার উদ্যোগে পালিত হলো স্যালুট ডে
নীরেশ ভৌমিক : গত ১৫ই আগস্ট মঙ্গলবার দত্তপুকুর দৃষ্টি নাট্য সংস্থার উদ্যোগে স্যালুট ডে পালিত হলো ‘দৃষ্টির’ নিজস্ব শিল্প চর্চা কেন্দ্র শিল্পশালায়। পশ্চিমবঙ্গের মফস্বল অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয় নাট্যদল গুলির মধ্যে দত্তপুকুর দৃষ্টির নাম প্রায় সর্বজনবিদিত।
এই ‘দৃষ্টি’র উদ্যোগেই দত্তপুকুরে ২০০৬ সালের ১৫ ই আগস্ট প্রথম নাট্যচর্চার মাধ্যমে স্বাধীনতা দিবস পালনের এই অভিনব প্রচেষ্টা শুরু হয় তবে প্রথম বছর এই কর্মসূচির নাম ছিল -‘ছয়দল একদিন’ যেখানে দত্তপুকুরের আরও অন্যান্য ৫ টি বন্ধু নাট্যদল অংশগ্রহণ করেন।
তবে পরবর্তী সময় থেকে অন্যান্য নাট্যদল গুলির কিছু কিছু অসুবিধা বা অপারগতার জন্য ‘দৃষ্টি’র একক উদ্যোগে শুরু হয় এই স্যালুট ডে এর পালন যেখানে দত্তপুকুর এর বাইরে থেকেও বহু নাট্যদল অংশগ্রহণ করেন প্রতিবছর। এবছর এই স্যালুট ডে তে অংশগ্রহণকারী দলগুলি হলো- গোবরডাঙা নাবিক নাট্যম,মছলন্দপুর ইমন মাইম এছাড়াও দত্তপুকুর মৈত্রী সংঘ এর একটি অনবদ্য প্রযোজনা – ‘৩১/১ জগবন্ধু
রিফিউজি কলোনি’ অনুষ্ঠিত হয় এটির নির্দেশনায় ছিলেন ঐশী ভট্টাচার্য্য আর এর সাথেই ছিল দত্তপুকুর দৃষ্টির নিজস্ব প্রযোজনা – ‘ জাঁতাবুড়ির কুয়ো’ ভাবনায় ও সামগ্রিক নির্দেশনা ভাস্কর মুখার্জি। এইবছর প্রথম বার এই স্যালুট ডে পালিত হলো দৃষ্টির নিজস্ব মহলা কক্ষ শিল্পশালায়। এদিনের অনুষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন সুমন চ্যাটার্জী।
আনুমানিক ১৫০জন দর্শকের উপস্থিতে এদিনের অনুষ্ঠানটি একটি অন্য মাত্রা পায়। অনুষ্ঠানের একেবারে শেষে ‘দৃষ্টি’র কর্ণধার মাননীয় শ্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্য তাঁর সমাপ্তি ভাষণে ঘোষণা করেন যে আগামী বছরগুলিতে এই স্যালুট ডে শিল্পশালাতেই পালিত হবে। সকালে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে যে অনুষ্ঠানের সূচনা হয় তার সমাপ্তি হয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে নিয়ে এক নৈশভোজের মাধ্যমে।