জেলার খবরবিনোদন

সফলতার সাথে শেষ হলো মুকুলিকা গানের স্কুলের আনন্দধারা নাট্য উৎসবের দ্বিতীয় পর্যায়

নীরেশ ভৌমিক : সফলতার সাথে শেষ হলো মুকুলিকা গানের স্কুলের আনন্দধারা নাট্য উৎসবের দ্বিতীয় পর্যায়। গত ৩০ এবং ৩১ শে মার্চ মেদিয়া ছাত্র কল্যাণ সমিতির মুক্ত মঞ্চে পাঁচটি নাটক সহ শ্রুতি নাটক, নৃত্য , আবৃত্তি , এবং সংগীতের মাধ্যমে আনন্দধারা নাট্য উৎসব উদযাপিত হয়।

দর্শকদের প্রশংসায় প্রশংসিত হয় বিভিন্ন প্রযোজনা। দ্বিতীয় পর্যায়ের আনন্দধারা নাট্য উৎসবে বিশিষ্ট জনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গোবরডাঙ্গা পৌরসভার পৌর প্রধান মাননীয় শ্রী শঙ্কর দত্ত মহাশয়, উপস্থিত ছিলেন সংস্কার ভারতীর কেন্দ্রীয় সদস্য শ্রী উদয় কুমার দাস মহাশয়, উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট প্রাক্তন শিক্ষক ও সমাজসেবী শ্রী সুকুমার নাথ মহাশয় , ছিলেন ছাত্র কল্যাণ সমিতির সভাপতি মাননীয় শ্রী নরেন দাস মহাশয় সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

দুদিনের নাট্য উৎসবে মুকুলিকা গানের স্কুল পরিবেশন করে সংগীতানুষ্ঠান, শ্রুতি নাটক , এবং অনিমা দাসের নির্দেশনায় পরিবেশন করে নাটক অথঃ দাঁড় পাল কথা, এছাড়াও পরিবেশিত হয় খড়দা থিয়েটার জোন এর নাটক আমি তো সেই মেয়ে, রবীন্দ্র নাট্য সংস্থার ভিস্মের শরশয্যা ,চিরন্তন এর রামায়ন কথা, ইমন মাইম সেন্টারের নাটক যুযুধান , গোবরডাঙ্গা নাবিক নাট্যম এর নাটক দর্পণ।

সমগ্র অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন চয়ন দাস, পরিচালনা করেন সংগঠনের সম্পাদিকা শ্রীমতি অনিমা দাস। শহর ছাড়িয়ে গ্রামের পরিবেশে সকল সাধারণ মানুষদের জন্য মুকুলিকা গানের স্কুলের এই আয়োজন প্রশংসারযোগ্য। সংস্কৃতি সকলের কাছে পৌঁছে দেবার উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই বিভিন্ন প্রতিকূলতাকে তুচ্ছ করে মুকুলিকা গানের স্কুল এবারের দুটি পর্যায়ের নাট্য উৎসবের আয়োজন করেছিল শহরের বাইরে মুক্ত মঞ্চে ।

গানের স্কুলের সম্পাদিকা শ্রীমতি অনিমা দাস জানান যতোটুকু সম্ভব মানুষের কাছেই সংস্কৃতিকে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করে যাবেন সব সময় ।যাদের কাছে তুলনামূলকভাবে শিল্প সংস্কৃতি কম পৌঁছায় তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার নিয়ে তারা পথ চলবেন।মুকুলিকার এই ভাবনাকে স্বাগত জানিয়েছেন উৎসব স্থলের আশেপাশের অসংখ্য মানুষ, তাদের উপস্থিতি দিয়েই তারা বুঝিয়ে দিয়েছেন তারাও মুকুলিকার সাথে আছে সংস্কৃতির সাথে আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *