মঞ্চে পরিবেশিত হবার পর বিলুপ্তপ্রায় আলোই গান এবার জায়গা করে নিলো দর্শক শ্রোতাদের মনে

পারফেক্ট টাইম ওয়েব ডেস্ক : লোক আঙ্গিকে আলোই তথা হালোই গান এবার গড়লো নতুন ইতিহাস। এই প্রথম মঞ্চে পরিবেশিত আলোই তথা হালোই গান কেড়ে নিল ভবানীপুর গ্রামবাসীর মন। গত ২২ জানুয়ারী শুক্রবার ভবানীপুর নবারুণ সংয়ের অনুষ্ঠান মঞ্চে এই প্রথম পরিবেশিত হল আলোই গান তথা হালোই গান। লোক আঙ্গিক থেকে বিলুপ্তপ্রায় এই ধরণের লোক সাংস্কৃতি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করছেন, ভবানীপুর পল্লীমঙ্গল বিদ্যাপীঠের শিক্ষক ও এলাকার অন্যতম লোকসংস্কৃতি প্রিয় ব্যক্তিত্ত্ব অনুপ বিশ্বাস।

সম্প্রতি আলোই গান তথা হালোই গানের রেকডিং ও ভিডিও শুট করে দর্শক শ্রোতাদের বিলুপ্ত প্রায় লোক সংস্কৃতির গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন তিনি। ইউটিউবের ‘লোকসংস্কৃতি অন্বেষা’ চ্যানেল থেকে একাধিক বিলুপ্ত প্রায় লোকগানের মত গ্রামীন জনগণের হৃদয়ের গান আলোই গান বা হালোই গানের হৃদস্পন্দন শোনা যাবে বলে জানিয়েছেন অনুপ বাবু। জনপ্রিয় আলোয় গানের শিশু শিল্পী রাকেশ মন্ডল ও অঙ্কিতা মন্ডল মঞ্চে এই গানের উপকরণ লাঠি হাতে নিয়ে পরিবেশিত হালোই গান পৌষ সংক্রান্তিতে অনুষ্ঠিত কালীপুজো, কুমিরপূজো ও বাস্তপূজো উপলক্ষ্যে আয়োজিত নরারুন সংঘের লোকসাংস্কৃতিক সন্ধ্যাকে করলো সমৃদ্ধ।

এদিন নবারুন সংঘের লোকসাংস্কৃতিক মঞ্চে বিলুপ্তপ্রায় আলোয় বা হালোই গান পরিবেশ করেন, পুতুল বৈরাগী, যূথিকা মন্ডল, বিকাশ সরকার, বুদ্ধিমন্ত সরকার, তারক সাঁতরা প্রমুখ। সঙ্গতে ছিলেন, দুলাল বিশ্বাস, হরষিত বিশ্বাস, রমেশ মন্ডল, তারক সাঁতরা প্রমুখ। এলাকার বয়স্করা জানিয়েছেন, বিলুপ্তপ্রায় এই হালোই গান এক সময় গ্রামের মাঠে ঘাটে হাল চাষ করা চাষী, মজুর, রাখালরা লাঠি হাতে নিয়ে এই গান পরিবেশন করে মানুষের চিত্ত বিনোদন করতো। সেই সময়ে হাল চাষ করতে করতে এই গান করে ক্লান্তি থেকে অব্যাহতি পেত ঠিক তখনই এই হাল চাষীর গান ‘হালোই’ নামে পরিচিতি পাই।

প্রতি পৌষে কুমির পূজো তথা বাস্তোপূজো ও কালী পূজা উপলক্ষ্যে ভবানীপুর নবারুন সংঘ আয়োজিত হালোই সঙ্গীত সন্ধ্যা প্রশংসিত হয় এলাকার বয়স্ক মহলে। বিলুপ্ত প্রায় লোক সংস্কৃতি নিয়ে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে চলা শিক্ষক অনুপ বাবুর দাবী, এপার বাংলা ও ওপার বাংলার মধ্যে সম্ভবতঃ এই প্রথম কোন মঞ্চে হালোই গান গাওয়া হলো। ভবানীপুর নবারুন সংঘের সভাপতি সুশান্ত মন্ডল, সম্পাদক পংকজ মন্ডল ও সহঃসম্পাদক বাপ্পা মজুমদারের উদ্যোগে আয়োজিত ক্লাবের বহু পুরাতন পৌষ কালীপুজো উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘লোক উৎসবে’ প্রশংসিত হয় বিলুপ্তপ্রায় এই হালোই গান।







