মছলন্দপুরে মরণোত্তর চক্ষুদান সেবিকা দুর্গা দেবীর
নীরেশ ভৌমিক : মরণের পরে অন্ধ জনের চোখে আলো ফোটাতে নিজের চোখ দুটি দান করে গিয়েছিলেন মছলন্দপুরের বাসিন্দা বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত রোগী সেবিকা (সিনিয়র নার্স) দুর্গা বিশ্বাস।
দুর্গাদেবীর স্বামী অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও মছলন্দপুর বিজ্ঞান চেতনা মঞ্চের সম্পাদক দীর্ঘদিন যাবৎ বিজ্ঞানের চর্চা প্রসারে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বিজ্ঞানমনস্ক করে তোলা এবং সেই সঙ্গে মরণোত্তর দেহ ও চক্ষুদান আন্দোলনকে সার্থক করে তুলতে কাজ করে চলেছেন।
দুর্গা দেবী এই বিজ্ঞান আন্দোলনের একজন অন্যতম সহযোগী ছিলেন।গত ২৮ অক্টোবর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দুর্গা দেবী (৬৩ বৎসর) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। গত ৯ নভেম্বর সকালে প্রয়াত দুর্গা বিশ্বাসের বাস ভবনে তার স্মরণ সভার আয়োজন করেন মছলন্দপুর বিজ্ঞান চেতনা মঞ্চের সদস্যরা।
বর্ষিয়ান বিজ্ঞান সেবক বিমল সিংহ এর পৌরহিত্যে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় সংগঠনের বিশিষ্ট ব্যক্তিগণের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বর্ষীয়ান সমাজকর্মী কালিপদ সরকার, গোবরডাঙ্গা গবেষণা পরিষৎ এর সম্পাদক দীপক কুমার দাঁ, ডাঃ তাপস সরকার, রবীন্দ্রনাথ ভঞ্জ, শিক্ষক পান্নালাল রায় চৌধুরী,
শচী দুলাল সরকার, অরুন কুমার সিনহা, গোবিন্দ লাল হাজরা, মনোজ পোদ্দার, অনুপ ঘোষ, ছিলেন প্রয়াতা দুর্গাদেবীর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা ও দিদি সহ আরো অনেকে।এদিন মছলন্দপুর বিজ্ঞান চেতনা মঞ্চ ছাড়াও মছলন্দপুর পেনশনার্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটির এবং আম্বেদকর সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সেন্টার
এর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি পত্র ও দিশার প্রভা আই ব্যাংকের পক্ষ থেকেও চক্ষুদানের জন্য মরণোত্তর শংসাপত্র প্রদান করা হয়। পেনশনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রদ্যুৎ কুমার বসু বলেন, আমরা আমাদের একজন নবীন সদস্যকে অকালে হারালাম।
মৃতার দুই পুত্র তন্ময় ও তুহিন মায়ের স্মৃতিচারণা করেন। তপনবাবু বলেন আমি একা হয়ে গেলাম। বিজ্ঞান কর্মী অংশুমান বিশ্বাসের পরিচালনায় এদিনের স্মরণসভা বেশ প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।