মধুসূদনকাটি সমবায়ে স্বাস্থ্যশিবির সহ মরণোত্তর দেহ ও চক্ষুদান অঙ্গীকার সহায়তা কেন্দ্রের উদ্বোধন
নীরেশ ভৌমিক : গত ৫ জানুয়ারি গাইঘাটার মধুসূদনকাটি সমবায় সমিতির উদ্যোগে ও ব্যবস্থাপনায় জেলার প্রথম মরণোত্তর দেহদাত্রী কিরণবালা সরকার স্মৃতি মরণোত্তর দেহ ও চক্ষুদান অঙ্গীকার সহায়তা কেন্দ্রের উদ্বোধন এবং সেই সঙ্গে নিঃশুল্ক এক স্বাস্থ্য শিবির অনুষ্ঠিত হয়।
সহায়তা কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মধ্যমগ্রাম নবচেতনা মঞ্চের প্রাণপুরুষ সুদীপ্ত সাহা রায়। অনুষ্ঠানে অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে ছিলেন মধুসূদনকাটি সমবায় সমিতির সভাপতি কালিপদ সরকার, মধ্যমগ্রাম বিজ্ঞান চেতনা মঞ্চের কর্ণধার সুরেশ কুন্ডু,
মছলন্দপুর বিজ্ঞানচেতনা মঞ্চের সম্পাদক তপন বিশ্বাস, সভাপতি অংশুমান বিশ্বাস, বর্ষিয়ান শিক্ষক পবিত্র মুখোপাধ্যায়, স্থানীয় সুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পম্পা পাল, গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ বাপী দাস, সদস্যা টুকু চক্রবর্তী, গাইঘাটা ব্লকের বিদ্যালয় পরিদর্শক রজত রঞ্জন
ঘোষ, প্রধান শিক্ষক আশিস চক্রবর্তী প্রমূখ। অন্যতম উদ্যোক্তা কালিপদবাবু সকলকে স্বাগত জানান।বিশিষ্টজনেরা সকলে মানুষের প্রয়োজনে মরণোত্তর দেহ, চক্ষু ও অঙ্গদানের ক্ষেত্রে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে মানুষজনকে সচেতন করার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান কর্মী সুকুমার মিত্র ও তপন বিশ্বাস। পথ দুর্ঘটনায় নিহত ভাইয়ের দেহ দানের কথা উল্লেখ করে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক দেবাশিস মন্ডল।
জেলার প্রথম মরণোত্তর দেহদাত্রী কিরণবালা দেবীর এই মহৎ দানকে স্মরণ করে বক্তব্য রাখেন সঞ্চালক ডাঃ তাপস সরকার। এদিনের স্বাস্থ্য শিবিরে উপস্থিত রসময় ও সুপ্রিয়া আচার্য নামে এক দম্পতি মরণোত্তর দেহ ও চক্ষুদানের অঙ্গীকার করেন।
আয়োজিত স্বাস্থ্য শিবিরে উপস্থিত মানুষজন বিনা ব্যয়ে স্বাস্থ্য, চক্ষু, সুগার, হার্ট ইত্যাদি পরীক্ষা করান। শিবিরে উপস্থিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক’গণ বিনা পারিশ্রমিকে রোগীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন। এদিনের কর্মসূচীকে সার্থক করতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়
মছলন্দপুর বিজ্ঞান চেতনা মঞ্চ, সমাজসেবি সংগঠন গাইঘাটার গাজনা ছায়া বীথি এবং বারাসাতের গন ল্যাবরেটরির কর্মীগণ। সকলের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি ও সার্বিক সহযোগিতায় মধুসূদনকাটি সমবায় সমিতি আয়োজিত এ দিনের সমগ্র কর্মসূচী সার্থকতা লাভ করে।
এলাকার শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষজন উদ্যোক্তাদের এই মহতী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান। উদ্যোক্তারা এদিন বিগত দিনে মরণোত্তর দেহ ও চক্ষু দাতাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে স্মারক সম্মান তুলে দিয়ে অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন।