আকাঙ্ক্ষা’র উৎসবে সমাজের জ্বলন্ত ইসু নিয়ে দুই নাটক

নীরেশ ভৌমিক : ভারতের থিয়েটারের মানচিত্রের গোবরডাঙ্গা অন্যতম সংস্কৃতির পিঠস্থান। নব প্রজন্মের তরুণ নাট্যদল গোবরডাঙ্গা আকাঙ্ক্ষা নাট্য সংস্থার আয়োজনে গত ১৬ মার্চ শিল্পায়ন ষ্টুডিও থিয়েটারের দীপা ব্রহ্ম মঞ্চে ‘ ১ সন্ধ্যায় ২ নাটক ‘ নামাঙ্কিত উৎসবের আয়োজন করা হয়।

বৈকাল ৫:৩০ মিনিটে প্রদীপপ্রজ্জলনের মাধ্যমে উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন ভারত সরকার অনুদান প্রতিদান বিভাগের সদস্য তথা আসাম অভিনব থিয়েটারের পরিচালক দয়াল কৃষ্ণ নাথ, বারাসাত তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা পল্লব পাল,

গোবরডাঙ্গা শিল্পায়নের পরিচালক আশীষ চট্টোপাধ্যায় সহ আরো বিশিষ্টজনেরা। প্রথম নাটক মঞ্চস্থ হয় গোবরডাঙ্গা আকাঙ্ক্ষা প্রযোজিত দয়াল কৃষ্ণ নাথ রচিত এবং পরিচালিত নাটক আমি রাজা। বর্তমান সমাজব্যবস্থার প্রতিফলন এই নাটকের মধ্যে দিয়ে ঘটেছে।

মানুষের উচ্চ আকাঙ্ক্ষা তীব্র আশা হয়ে উঠতে পারে ধ্বংশের কারণ। যুগ যুগ ধরে চলে আসছে ক্ষমতার লড়াই। ঘুরছে এক শাসন ব্যবস্থার অবসান শুরু হয় নতুন শাসন তন্ত্র। লোভের বসে মানুষ খুন, ধর্ষণ হচ্ছে। একটা সময় পর আসে শান্তি। এই শান্তি ই কি চির স্বস্তি? নাকি সাময়িক।

প্রশ্ন রেখেই শেষ হয় নাটক আমি রাজা। পরবর্তী নাটক গোবরডাঙ্গা শিল্পায়ন প্রযোজিত ও আশিস চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত উত্তম পুরুষ। নাটকে তুলে ধরা হয়েছে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা। যেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় নিয়মিত ঘটে চলেছে ধর্ষণ, গণধর্ষণ ও খুন।

কোথায় এর শেষ? শুরুতেই যে দক্ষিণ কোরিয়ার নারীবাদী আন্দোলনের কথা বলা হলো, শেষমেশ এখানেও তার কোনও প্রভাব পড়বে না তো? ওই আন্দোলনের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি থাক বা না থাক, কিছু সংশয় তো থেকেই যায়।

নারীবাদী মানেই যে পুরুষ বিদ্বেষী এমন একটি পুরুষ-তান্ত্রিক প্রচার এই আন্দোলনের আসল উদ্দেশ্যকেই না পুরোপুরি হাইজ্যাক করে নেয়।এই নিয়েই নাটক উত্তম পুরুষ। অনুষ্ঠানে দর্শকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পরার মতো। দর্শকদের করতালি প্রমাণ করে নাটকের সার্থকতা।

সংস্থার সম্পাদিকা তনুশ্রী দেবনাথ (দত্ত) জানান, ” সাম্প্রতিক ঘটনার প্রতিফলন আজ আমরা পেলাম এই মঞ্চে। আমরা সমাজ তৈরীর কারিগর। এইভাবেই আমরা এগিয়ে যেতে চাই থিয়েটার কে সাথে নিয়ে। “








