উত্তর ২৪ পরগনা জেলার চিত্রশিল্পীদের শিল্পচর্চা করার সুযোগ করে দিল “রূপরেখা”

নীরেশ ভৌমিক : উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সদর শহর বারাসাত ও তৎপরবর্তী এলাকায় সেভাবে কোনরকম আর্ট গ্যালারি জাতীয় কিছু না থাকা সত্ত্বেও এলাকার চিত্রশিল্পীরা নিজেদের সাধ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধতার মধ্যে তাদের এলাকার চিত্রশিল্পীরা চালিয়ে যাচ্ছে। বারাসাতের এই প্রজন্মের অন্যতম উল্লেখযোগ্য চিত্রশিল্পী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী সুশান্ত সরকারের যোগ্য ছাত্রদের মধ্যে এক উজ্জ্বল নাম জিৎ অধিকারী । চাকরি ছেড়ে দিয়ে শিল্পচর্চাকে ভালোবেসে সে একটি আকার স্কুল চালু করেছে যার নাম “রূপরেখা” ।

ধীরে ধীরে এই “রূপরেখা” বেশ ভালোই ডানা মেলতে শুরু করেছে। করোনা সময়কালের নানান বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে রূপরেখা এ বছর তাদের বার্ষিক চিত্র প্রদর্শনী আয়োজন করেছিল ২২, ২৩ ও ২৪ শে মার্চ হৃদয়পুর এর কাছে সংহতি ক্লাবের সামনে রাস্তার পাশে নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও প্রায় দেড় শো এর কাছাকাছি ছোট বড় চিত্রশিল্পীর আঁকা নিয়ে আযোজিত এই চিত্র প্রদর্শনী পথ চলতি বহু মানুষের প্রশংসা আদায় করে নেয়। উল্লেখের অপেক্ষা রাখে না যে এরা সকলেই জিৎ এর ছাত্র ।

বাইশে মার্চ সন্ধ্যায় এক অনারম্বর অনুষ্ঠানে তার প্রাথমিক পর্যায়ের অংকন শিক্ষক তারক নাথ দাসের উপস্থিতিতে এবং তার বিদ্যালয়ের শিক্ষা জীবনের হাতে খড়ি হওয়া দুই শিক্ষক সত্যজিৎ ভট্টাচার্য ও অরিন্দম দের উপস্থিতিতে তার বড় হওয়ার পথের অগ্রদূত শিল্পী সুশান্ত সরকারকে সঙ্গে নিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই চিত্র প্রদর্শনীর সূচনা ঘটে। প্রতিদিন এই চিত্র প্রদর্শনী র সাথে সাথে কিছু সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এর ব্যবস্থাও ছিল । যেখানে ছিল সঙ্গীতানুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠান, শ্রুতি নাটক আবৃত্তি এমনকি যাদু প্রদর্শনীর মতো আকর্ষণীয় উপস্থাপনা ।

সকলের উপস্থিতিতে চিত্র প্রদর্শনীটি আর নিছক চিত্র প্রদর্শনীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, রূপরেখার আয়োজনে উল্লেখযোগ্য আকর্ষণ ছিল বহিরাগত প্রায় ৩০ জন শিল্পীর উপস্থিতিতে এক চিত্রকর্মশালা। শেষদিনে শিল্পী সুশান্ত সরকারের নেতৃত্বে রূপরেখার অঙ্কন শিক্ষক জিৎ অধিকারীর ব্যবস্থাপনায় রূপরেখার এই সম্পূর্ণ আয়োজন এলাকায় অভিভাবকদের মধ্যে এক আলাদা উন্মাদনা ও ইতিবাচক সাড়া জাগায়।








