আপোসহীন অনলাইন সংবাদ মাধ্যম, আপনার এলাকার টাটকা সংবাদ পরিবেশনে সর্বদা দায়বদ্ধ।

অন্যান্য।গ্রামের খবর

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্বামীর হাতে অকালে প্রান গেল অর্পিতার

পারফেক্ট টাইম ওয়েব ডেস্ক : বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্বামীর হাতে অকালে প্রান গেল স্ত্রী অর্পিতার। সোশ্যাল মিডিয়ার রিলস্ প্রেমীরা আর দেখতে পাবেনা অর্পিতার নতুন নতুন চার্মিং রিলস্। সেই সাথে অর্পিতা-প্রসেনজিত বিশ্বাসের ছোট্ট মেয়েটা আর সুযোগ পাবেনা কাউকে ‘মা’ বলে ডাকার। ও হয়তো মনের অগোচরে বার বার খুঁজতে থাকবে তার মাকে কিন্ত সাড়া পাবে না কোনদিন। কি দোষ করেছিল এই ছোট্ট মেয়েটা ?

কেন সে আর কোন দিন কিছু সময়ের জন্য হলেও মায়ের কোলে মাথা রেখে ঘুমানোর সুযোগ পাবে না ? কিছু দিনের জন্য হলেও কেন পাবেনা একটু পিতৃস্নেহ ? দোষ কার ? জিজ্ঞাসা এলাকার শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের। আজ সকালে বাড়িতে রান্নাঘরে রান্না করার সময় ভিডিও কলে প্রেমিকের সঙ্গে গল্পে মত্ত থাকাকালীন ঐ শিশুর বাবার হাতে থাকা ধারালো কুড়ুলের নির্মম আঘাতে ঘটনাস্থলেই প্রান যাবে তার মায়ের কে জানতো ? ঘটনাটি ঘটেছে বাগদা থানার রনঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের কোলা গ্রামে। মৃত স্ত্রীর নাম অর্পিতা বিশ্বাস (২৮) এবং ঘাতক স্বামীর নাম প্রসেনজিৎ বিশ্বাস(৩২)।

জানা গেছে, স্ত্রী অর্পিতা তার স্বামীর নিষেধের সত্ত্বেও বন্ধুদের সাথে মোবাইলে রিলস্ তথা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাড়ার জন্য ভিডিও বানাতে বাড়ির বাইরে যেত। বাড়িতে না জানিয়েই যখন তখন বেরিয়ে পড়তো বন্ধুদের সাথে। বেশির ভাগ দিন বাড়ি ফিরতো রাত করেই। রিলস্ ভিডিও বানানোর অজুহাতে স্ত্রীর অবৈধ প্রেম বা পরোকিয়া ছিল সন্দেহে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই অশান্তি হত। আজও সকালে রান্নার সময় বন্ধুদের সাথে ভিডিও কলে প্রেমের গল্প চলছিল। এটা দেখে অর্পিতার স্বামী প্রসেনজিত সহ্য করতে না পেরে ধারলো কুড়ুল দিয়ে সজরে ঘাড়ের পিছনে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ঘটনাস্থলেই খুন করে ফোন করে বাগদা থানাকে এই খুনের ঘটনা জানায়। এবং নিজেও বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।

পরে অবশ্য পড়শিদের হস্তক্ষেপে স্বামী প্রসেনের আত্মহত্যার প্লান ভেস্তে যায়। ঘটনাস্থলে আসে বাগদা থানার পুলিশ তারা অর্পিতার মৃতদেহ নিয়ে যায় পোষ্টমর্টেমের জন্য আর খুনি পেশায় ড্রাইভার প্রসেনের নেয় তাদের হেফাজতে। এলাকাবাসীর বক্তব্য, খুনি প্রসেন খুব ভাল ও সংসারী ছেলে কিন্ত তার স্ত্রী অর্পিতার স্বভাব চরিত্র খুব ভাল ছিল না। সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য রিলস্ ভিডিও বানাতে যখনতখন একা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেত সে। মাঝে একটা সময় নাকি এক প্রেমিকের সাথে পালিয়েও গিয়েছিল কিছুদিনের জন্য। উল্লেখ্য, প্রসেন ও অর্পিতার বিয়ে হয় বছর সাতেক আগে তাদের পাঁচ বছরের এক কন্যা সন্তানও রয়েছে।

হাড় হিম করা এই হত্যা কান্ড দেখতে আশপাশের লোকজন ভিড় জমাচ্ছে ড্রাইভার প্রসেনের বাড়ি কিন্ত কেন জানিনা ঘটনাস্থলে যেয়ে দেখা গেছে, এতবড় একটা হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটনোর পরেও প্রসেনের প্রতি যেন প্রতিবেশীদের কারও ক্ষোভই নেই। প্রতিবেশীদের আদালতে গ্রামবাসী হিসেবে খানিকটা ছাড় পেলেও প্রকৃত তথা বাস্তব আদালতের রায় কি হবে ? সেদিকেই তাকিয়ে আছে সবাই। আইনের মারপ্যাচ অতশত না বুঝলেও হয়তো সেদিকেই তাকিয়ে আছে সদ্য মাতৃহারা ছোট্ট মেয়েটাও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *