ঠাকুরনগরে ধর্মীয় সভায় সনাতনী হিন্দুদের নিষ্ঠাভরে ধর্ম পালনের আহ্বান কার্তিক মহারাজের

নীরেশ ভৌমিক : রামনবমী উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঠাকুরনগরের রামনবমী পূজো ও উৎসব উদযাপন কমিটি। কমিটির সদস্য ও এলাকার শ্রী শ্রী রামচন্দ্রের অনুগামী অগণিত ভক্তজনের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে সপ্তাহব্যাপী আয়োজিত নানা অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।

পুজো উপলক্ষে ধর্মীয় আলোচনা ও মনোজ্ঞ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন উদ্যোক্তারা। অষ্টমীর সন্ধ্যায় আয়োজিত পুজো ও উৎসবের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সাংসদ ও মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।

ঠাকুরনগর স্টেশন সংলগ্ন রেল পার্কে দর্শনীয় প্রতিমা, পূজামণ্ডপ ও আলোকসজ্জা সকলের নজর কাড়ে। প্রতিদিন অপরাহ্ন থেকে এলাকার অগণিত ধর্মপ্রাণ ও সংস্কৃতিপ্রেমী মানুষজনের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে ও জয় সীতা রাম ধ্বনিতে মন্দির প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে ওঠে।

৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত ধর্মীয় আলোচনা সভায় মুখ্য বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবছরে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত বিশিষ্ট সমাজসেবক তথা ভারত সেবাশ্রম সংঘের স্বামীজি কার্তিক মহারাজ (প্রদীপ্ত নন্দজী), ছিলেন তরুণ সন্ন্যাসী সুবক্তা সঞ্জয় শাস্ত্রীজী, বিধায়ক ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ির সদস্য সুব্রত ঠাকুর,

কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের সহধর্মিনী মতুয়া মাতা সোমা ঠাকুরানী, সমাজকর্মী সুকুমার নাথ, অন্যতম সংগঠক মলয় মন্ডল, তিমির বরণ সরকার প্রমূখ। ধর্মীয় সভার মুখ্য বক্তা কার্তিক মহারাজ তাঁর বক্তব্যে সুপ্রাচীন সনাতনী হিন্দু ধর্মের ঐতিহ্য এবং এই ধর্মের রীতিনীতি, আচার-অনুষ্ঠান, পালনীয় কর্তব্য

এবং সেই সঙ্গে সনাতন হিন্দু ধর্মের মাহাত্ম্য তুলে ধরে দীর্ঘ বক্তব্য রাখেন।সকলকে নিষ্ঠাভরে পূজো-পাঠ ও ধর্মাচরণ করার আহ্বান জানান। মহারাজজী আরো বলেন, আমাদের এই সনাতন ধর্ম আজ আক্রান্ত। আমাদের এই ধর্মকে রক্ষা করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু, স্বামী বিবেকানন্দ দেশে-বিদেশে সনাতন হিন্দু ধর্মের জয়ধ্বজা তুলে ধরেছেন। ধর্ম রক্ষায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। গাইঘাটার ঢাকুরিয়া ছাড়াও সুটিয়া, চাঁদপাড়ার দেবীপুর, ঢাকুরিয়া কালিবাড়ি পার্শ্বস্থ রাম মন্দিরে ও ভক্তগণেরা সাড়ম্বরে রামচন্দ্রের পুজোর আয়োজন করেন।









